কলকাতা: নবান্ন অভিযানের ডিউটি চলাকালীন গুরুতর জখম হন পুলিশ অফিসার দেবাশিস চক্রবর্তী। তার চোখ হারানোর সম্ভাবনা রয়েছে। ছেলের সঙ্গে যা ঘটেছে তা মেনে নিতে পারছেন না তার বাবা-মা। রাতে ঘুমাতে পারছেন না, শুধু তার বাড়ি ফেরার অপেক্ষায় প্রহর গুনছেন। পরিবারের ধারণা, এই ঘটনার পিছনে রয়েছে সামাজিক দুর্বৃত্তরা।
[আরও পড়ুন]: জাদুঘরে ঘুরতে গিয়ে ৩৫০০ বছরের পুরোনো জার ভেঙে ফেলল। তারপর যা হল
দেবাশিস চক্রবর্তী উলুবেড়িয়া পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের শ্যামসুন্দরচক কলোনিতে থাকেন। পরিবারে রয়েছেন স্ত্রী দেবারতি চক্রবর্তী, মা গৌরী চক্রবর্তী, বাবা সন্দীপ চক্রবর্তী ও তাঁদের ছেলে। দেবারতিও পুলিশ বাহিনীতে কাজ করে। তাদের ছেলে দেবার্য্য আপার নার্সারিতে পড়ে। মঙ্গলবার দেবাশিসের ছাত্র আন্দোলনে একটি বিশেষ ডিউটি ছিল। রাতে ফিরবেন না জানিয়ে সোমবার সকালে বেরিয়ে যান তিনি। সে ই দায়িত্ব পালনকালে বিক্ষোভকারীদের ছোড়া ইটের আঘাতে তিনি আহত হন, যার ফলে তার চোখ থেকে রক্তক্ষরণ হয়। কিছুক্ষণ পড়ে ঘটনাটির খবর পায় তার পরিবার।
[আরও পড়ুন]: কলা পচন ধরে খুব তাড়াতাড়ি।দীর্ঘদিন সতেজ রাখতে কি করবেন জেনে নিন।
মা গৌরী চক্রবর্তী বলেন, “আমি জানতাম মঙ্গলবার আমার ছেলে ব্যস্ত থাকবে, তাই আমি তাকে ফোন করিনি। দুপুর ও বিকেলের দিকে চেষ্টা করলাম, কিন্তু পারলাম না। বিকেল পাঁচটা নাগাদ আমার পুত্রবধূ ফোন করে ছেলের অবস্থা জানালেন। জানতে পারি ছেলে পিজি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পরে সেদিন রাতে খবরে দেখি অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। জানতে পারি রাত ১০টার দিকে অপারেশন হয়েছে”। গৌরীদেবী জানান, দুশ্চিন্তার কারণে তিনি ঘুমাতে পারছেন না। দেবাশিসের পরিবারের দাবি, এই ঘটনার হামলাকারীরা ছাত্র হতে পারে না।
________