তারকেশ্বর TV: দামোদর নদীর কারণে জামালপুর ব্লকের সাদিপুর, জোতশ্রীরাম, পাইকপাড়া, অমরপুর, মুইদিপুর এবং শিয়ালি গ্রাম সহ আরও কয়েকটি গ্রাম জলে ডুবে গেছে। এসব গ্রামের অনেক একতলা বাড়ি সম্পূর্ণ প্লাবিত হয়েছে। বেরুগ্রামে নদীর পাড় ভেঙে যাওয়ায় কৃষি জমিতে জল ঢুকে পড়েছে। খবরে বলা হয়, কয়েকশ একর জমির ধানক্ষেত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
‘এই সময়’ – এর সূত্র অনুসারে, রায়না ১ ও ২ ব্লকের এলাকাও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বুধবার সকালে রায়না-১ এর হিজলনা পঞ্চায়েতের কাঁঠালতলা থেকে পাঁচজনকে উদ্ধার করা হয়। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, পূর্ব বর্ধমানে বন্যায় মোট ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৬৫ লক্ষ টাকায় পৌঁছেছে। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রাধিকা আইয়ার জানিয়েছেন, “জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা দল ২৪ ঘণ্টা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে এবং উদ্ধারকাজের জন্য তিনটি নৌকা মোতায়েন করা হয়েছে”।
[আরও পড়ুন]: 3GB ডেটা, কল! তাও মাত্র ৭ টাকায়? পূজার আগে দুর্দান্ত অফার BSNL এর
তিনি জানান, ১০,১১২টি ত্রিপল বিতরণের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্তদের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রতিটি ব্লকে ৫ হাজার করে পানীয় জলের পাউচ দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, “বুধবার সন্ধ্যা থেকে জল কমতে শুরু করেছে। আমরা আশা করছি পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে”।
[আরও পড়ুন]: স্মার্ট গ্লাসে ‘বিপ্লব’ আগের অভিজ্ঞতা ভুলে যান
জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, মোট ১৭টি ব্লক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্লকগুলো হলো- কালনা ১ ও ২, খন্দঘোষ, গালসি ১, আউশগ্রাম ২, রায়না ১ ও ২, জামালপুর, কাটোয়া ১ ও ২, কেতুগ্রাম ২, পূর্ব স্থলী ১ ও ২, মন্টেশ্বর, আউশগ্রাম ১ এবং বর্ধমান-১।
[আরও পড়ুন]: প্রেমে ধোঁকা? নেপথ্যে রয়েছে নানা অজানা কারণ
১৫ তারিখ ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে আউসগ্রামে একটি বাড়ি ভেঙে একজন মারা যান। এই দুর্যোগের ফলে জেলার ২৩৭ টি বাড়ি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যায়। ২১টি ত্রাণ শিবিরে মোট ৩,৪৫৮ জনকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ৫ হাজার ৭০০ বাসিন্দাকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
________