ভাল্যগ্রামের একমাত্র স্কুলটি আজ আর স্কুল নেই, যেন এক জমজমাট হাটবাজার! ক্লাসরুমে নেই ছাত্রছাত্রী, নেই কোনো শিক্ষক-শিক্ষিকা। কিন্তু আছে তেলেভাজার গন্ধ, মশলার রং, আর বাজারের কোলাহল!
স্কুলের নতুন সিলেবাস: তেলেভাজা ১০১!
একসময় ক্লাসরুমের ব্ল্যাকবোর্ডে লেখা হতো অঙ্ক, বিজ্ঞান, বাংলা ব্যাকরণ। এখন সেই ব্ল্যাকবোর্ডের গায়ে হেলান দিয়ে বিক্রি হচ্ছে গরম গরম চপ আর বেগুনি! শিক্ষক নেই ঠিকই, কিন্তু তেলেভাজার দোকানদার দেবব্রত কাকু বললেন, “এই তেলেভাজার চমকেই জীবনের সব অঙ্ক মিলে যাবে!”
ক্লাসরুম থেকে ক্রেতারুম!
আগে যেখানে ছাত্ররা বসে বাংলা কবিতা পড়ত, সেখানে এখন জমিয়ে চলছে দরদাম—
“কাকু, এই পোশাক কত?”
“এই যে ভাই, একদম ফার্স্ট হ্যান্ড, ক্লাসরুম ব্র্যান্ড!”
কোথায় বাংলা বইয়ের পাতা ওল্টানো হতো, এখন সেখানে গন্ধরাজ লেবুর স্তূপ।
স্কুল ভবন Vs. গ্রাম্য হাট
স্কুলের দরজা-জানলা ভেঙে পড়েছে ঠিকই, কিন্তু তার মাঝেই চলছে বেচাকেনা। স্কুল বারান্দায় বসেছে পেঁয়াজ, আদা, রসুনের দোকান। মাঠের এক পাশে বিক্রি হচ্ছে মাছ, অন্য পাশে শুকোচ্ছে মশলা!
তৃণমূলের কামরুল কাকু ব্যাখ্যা দিলেন, “স্কুল তো বন্ধ! তাই আমরা শুধু জায়গাটা ব্যবহার করছি! স্কুল চালু হলে আবার ঠিক করে দেব!”
রাজনীতি বনাম রসিকতা
বিজেপির গোপাল চট্টোপাধ্যায় বললেন, “এই সরকার থাকলে স্কুলে শিক্ষক আসবে না, চপ শিল্পই হবে!”
গ্রামের এক বৃদ্ধা পাল্টা বললেন, “মা গো! তাহলে কি এবার রেজাল্ট কার্ডে লেখা থাকবে ‘সেরা চপ বিক্রেতা’?”
পড়াশোনা বনাম পোড়াশোনা!
গ্রামের মানুষের একটাই দাবি—স্কুল চালু করো! ছাত্রছাত্রীরা ফিরে আসুক ক্লাসরুমে, খাতা খুলুক, বইয়ের পাতা ওল্টানো হোক! কিন্তু তার আগে… এই মঙ্গলবারের বাজারটা শেষ হতে দাও!
বিঃ দ্রঃ – কাটোয়ার ঘটনাটি মজার গল্পের আধারে লেখা । রাজনৈতিক কোনো সম্পর্ক নেই।
|| সমাপ্ত ||