ঘরে আছে তিন স্ত্রী আর ৪৬টি সন্তান। এত বড় পরিবার নিয়ে সুখের সংসার আহমদ আঘার। কিন্তু তাতেও মন ভরছে না তাঁর। তাই আবার বিয়ে করতে চাইছেন তিনি। আঘার দাবি, তাঁর তিন স্ত্রীই চতুর্থ বিয়ের জন্য অনুমতি দিয়েছেন।
একসঙ্গে বাস
তিন স্ত্রী এবং সব কটি সন্তানকে নিয়ে একসঙ্গেই বাস করেন আহমদ আঘা। তিনি আফগানিস্তানের হেরাত প্রদেশের রাবাত-ই-সাঙ্গি বিভাগের বাসিন্দা। ৫২ বছর বয়সী আহমদ আঘা তাঁর তিনজন স্ত্রী এবং ৪৬টি সন্তানকে নিয়ে একই ছাদের নিচে বসবাস করেন। এত বড় পরিবার নিয়ে এক সঙ্গে থাকেন তিনি। এই কারণে নিজের এলাকায় বেশ খ্যাতি রয়েছে এই ব্যক্তির।
কেন আবার বিয়ে?
এখন আহমদ আঘা আরেকটি বিয়ে করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। কেন চতুর্থ বার বিয়ে করতে চাইছেন তাও জানিয়েছেন এই ব্যক্তি। আফগানিস্তানে সংবাদমাধ্যম খামাপ্রেসের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, আরও সন্তান চাইছেন আঘা। ৪৬ সন্তানের জনক আহমেদ দাবি করেছেন এত সন্তান থাকায় সমাজ এবং অন্যান্য জায়গায় তাঁর আলাদা একটি সম্মান রয়েছে। তিনি সেই সম্মান ধরে রাখতে চাইছেন। সেই কারণেই আবার বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
সন্তানরা বন্ধুর মতই
আহমদ তাঁর পৈতৃক উত্তরাধিকার সূত্রে একটি বেকারি পেয়েছেন। সেখানেই সব ছেলেদের নিয়ে কাজ করেন তিনি। এই বেকার থেকে যে আয় তা দিয়েই তিনি পূরণ করেন পরিবারের চাহিদা। স্ত্রী এবং সন্তানদের চাহিদা মেটানোর সঙ্গেই সংসার খরচও আসে ওই আয় থেকেই।
আহমদ বলেন, ‘আমার কর্মক্ষম সব ছেলেই আমার সঙ্গে এই বেকারিতে কাজ করেন। তারা সবাই আমাকে সম্মান ও শ্রদ্ধা করে। আমাদের মধ্যে বাবা-ছেলের সম্পর্ক নয়। এর বদলে আমাদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। আমি তাদের ভালেবাসি। তারাও আমাকে একেবারে বন্ধুর মত দেখলেও বাবা হিসাবে সম্মান করে।’
স্ত্রীদের অনুমতি
ইসলাম ধর্ম অনুসারে, কোন ব্যক্তির স্ত্রী থাকলে কিছু শর্ত মেনে আবার বিয়ে করতে পারেন। এই জন্য স্ত্রীর কাছে অনুমতি নিতে হয়। আহমদ এখন চতুর্থবার বিয়ে করার পরিকল্পনা করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, আগের তিন স্ত্রীই চতুর্থ বিয়ে করার জন্য তাকে সম্মতি দিয়েছেন। কেউই এই বিয়েতে আপত্তি জানাচ্ছেন না বলেও দাবি করেন তিনি।
সমাজের দৃষ্টিভঙ্গী আর্থসামাজিক সুবিধার কারণে আফগানিস্তানে একাধিক বিয়ের প্রচলন রয়েছে। মূলত এর মাধ্যমে অর্থ ও বিত্তের বিষয়টি প্রকাশ পায়। তবে সেখানে অনেক জায়গায় একাধিক বিয়েকে ভালো চোখে দেখা হয় না।