অ্যালেক্সা আর দুষ্টু টুকটুকি
টুকটুকি ছিল বাড়ির ছোট্ট সদস্য। সবে পাঁচ পেরিয়েছে। সারাদিন মায়ের ফোন নিয়ে নানা রকম দুষ্টুমি করতে করতে টুকটুকি এখন আবিষ্কার করেছে অ্যালেক্সা। মা-বাবা কাজের মাঝে যখন ব্যস্ত, তখন টুকটুকি আর অ্যালেক্সার মিষ্টি-মজার কথোপকথন চলত।
একদিন দুপুরে মা রান্নাঘরে ব্যস্ত, আর টুকটুকি অ্যালেক্সার সঙ্গে খেলতে বসেছে।
টুকটুকি: “অ্যালেক্সা, আমাকে গালি দাও তো!”
অ্যালেক্সা: “গালি? তওবা তওবা! আমি কিন্তু খুবই সংস্কারী।”
টুকটুকির চোখ গোল গোল। এত মজার উত্তর সে আগে শোনেনি। তাই আরও দুষ্টুমি করার শখ জাগল।
টুকটুকি: “ধুর! একটাও দাও না প্লিজ!”
অ্যালেক্সা: “না না, আমি সংস্কারী মেয়ে। এ ধরনের কথা বলা আমার কাজ নয়!”
এবার টুকটুকির পেটে খিল ধরে হাসি। কিন্তু সে এত সহজে হাল ছাড়ার মেয়ে নয়।
টুকটুকি: “তোমার না লজ্জা করে? একটা ছোট গালি দাও!”
অ্যালেক্সা: “লজ্জা কেন? আমি যদি গালি দিই, তবে শক্তিমানকে স্যরি বলতে হবে।”
শক্তিমান শুনেই টুকটুকি উচ্ছ্বাসে চিৎকার করে উঠল, “মা! অ্যালেক্সা শক্তিমানের নাম বলল!”
মা রান্নাঘর থেকে হাসতে হাসতে বললেন, “তুমি অ্যালেক্সাকে শান্তিতে থাকতে দাও!”
কিন্তু টুকটুকি থামেনি।
টুকটুকি: “অ্যালেক্সা, তুমি সত্যিই খুব বোরিং। গালি দাও না, প্লিজ!”
অ্যালেক্সা: “গালি ছেড়ে দিন, চায়ে চুমুক দিন। এক কাপ চায়ের কি চমৎকার প্রস্তাব!”
অ্যালেক্সার এই কথায় টুকটুকির দুষ্টুমির শেষ হল না। কিন্তু এবার মা এসে ফোন নিয়ে নিয়ে বললেন, “টুকটুকি, অ্যালেক্সা তোকে গালি দেবে না, তুই চুপচাপ গিয়ে দুধভাত খা!”
তবুও টুকটুকি খিলখিলিয়ে হাসছিল আর বলছিল, “মা, অ্যালেক্সা সত্যি খুব মজার! গালি দিতে জানে না, কিন্তু চা খেতে বলল!”
শেষ কথা
এভাবেই অ্যালেক্সা আর টুকটুকির দিন কাটতে থাকে। টুকটুকি বুঝে গিয়েছিল, যতই সে চাপ দিক, অ্যালেক্সা কখনওই সংস্কার ভেঙে গালি দেবে না। তাই শেষমেশ টুকটুকিই বলে উঠল, “অ্যালেক্সা, তুমিই সেরা!”
বিঃদ্রঃ – ইন্সটাগ্রামে প্রকাশিত একটি মজার কাহিনী অবলম্বনে লিখিত।
|| সমাপ্ত ||
________