তারকেশ্বর TV: পূর্ব রেল সূত্রের খবর অনুসারে, পূর্ব রেল এখন হুগলির তারকেশ্বর স্টেশনকে সুন্দর করার জন্য অমৃত ভারত প্রকল্পে ব্যান্ডেল ও শেওড়াফুলির পরে প্রায় ২৪.৪ কোটি টাকা ব্যয় করবে। এছাড়াও স্টেশনে যাত্রীদের সুবিধার জন্য প্রশস্ত ফুট ওভারব্রিজ নির্মাণ করা হবে এবং স্টেশনের পরিসরটিও সুন্দর করা হবে। এই পরিকল্পনা যাত্রীদের ভবিষ্যৎ চাহিদা মেটাতে সাহায্য করবে।
তীর্থযাত্রীদের ভিড়ের কথা মাথায় রেখে স্টেশনে উঁচু, প্রশস্ত এবং দৃষ্টিনন্দন শেড তৈরি করা হবে।
এই শৈবতীর্থে শ্রাবণ মাসে অনেক পুণ্যার্থী আসে। এটা ছাড়াও বছরের অন্যান্য সময়েও এখানে খুব রাশ হয়। ভবিষ্যতে যদি বিষ্ণুপুর পর্যন্ত রেল পরিষেবা সম্প্রসারিত হয়, তবে এই স্টেশনটি তীর্থকেন্দ্রিক পর্যটনের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ হবে। এই ধারণায় স্টেশনের বাইরের সাজসজ্জা ও বিন্যাসও পরিবর্তন করা হচ্ছে। আলো এবং অন্যান্য প্রস্তাবিত পরিকাঠামোও উন্নত করা হচ্ছে। বিষ্ণুপুর এবং বাঁকুড়ার বিস্তীর্ণ অংশের সাথে যোগাযোগের দিক থেকেও তারকে তারকেশ্বর স্টেশন বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, “আমরা স্টেশনে নিয়মিত যাত্রীদের এবং তীর্থযাত্রীদের জন্য বৃহত্তর স্বাচ্ছন্দ্য সুবিধা সৃষ্টি করতে চাই। আমরা তারকেশ্বর স্টেশনে পরিকল্পনা করেছি যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ্য বৃদ্ধি করার জন্য।”
তবে, গোঘাটের ভাবাদিঘিতে তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর (৮২.৪৭ কিমি) রেলপথ নির্মাণের জন্য জমি-জট এখনও কাটেনি। এছাড়াও, পশ্চিম অমরপুরে জমির দাম সমস্যা মিটলেও নিকাশি এবং আন্ডারপাসের দাবির সুরাহা হয়নি। রেল ও প্রশাসন আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনার আশ্বাস দিয়েছে।
তবে, এখনও গ্রামবাসীরা ভাবাদিঘিতে দিঘির একাংশ বুঝিয়ে রেলপথ নির্মাণের বিরোধিতা করছে। পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ আশা করছে, ভাবাদিঘির জমি জট কাটিয়ে তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর রেলপথের কাজ শীঘ্রই সম্পূর্ণ করা হবে।
রেলের দাবি, ভাবাদিঘিতে ১৯১ জন জমিদাতার সম্মতি পাওয়া হয়েছে। তবে এখনও ৭৭ জনের কাছ থেকে সম্মতি পাওয়া যায়নি। তবে, স্থানীয় প্রশাসনের সাহায্য নিয়ে ওই জট কাটানোর চেষ্টা চলছে।
________