Homeপাঁচমিশালিপরীক্ষায় কেউ লিখেছে লাভ লেটার। কারো আবার নম্বর পাবার আর্জি

পরীক্ষায় কেউ লিখেছে লাভ লেটার। কারো আবার নম্বর পাবার আর্জি

পদার্থবিদ্যা পরীক্ষার সময় এক ছাত্র প্রেমের সংজ্ঞা লিখে রেখেছিল

তারকেশ্বর TV:  উত্তরপত্রে উত্তর ছাড়া বাকি সব কিছু লিখেছে ছাত্র ছাত্রীরা! সম্প্রতি বিহার বোর্ড এর ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষার উত্তর পত্র এমন কিছু ঘটনার সাক্ষী। উল্টোপাল্টা বক্তব্য আর পাশ করিয়ে দেওয়ার আশাবাদী অনুরোধ করেছে ছাত্র-ছাত্রী রা।

জামুইয়ের একটি পরীক্ষা কেন্দ্রে পদার্থবিদ্যা পরীক্ষার সময় এক ছাত্র প্রেমের সংজ্ঞা লিখে রেখেছিল। চমৎকার লেখনী দিয়ে ছাত্রটি লিখেছিল, ‘আমি বুঝতে পারছি ভালোবাসা সহজ নয়। তবে, যখন এটি ঘটে, তখন এটি বেশ গভীর হতে পারে’। উপরন্তু, অসংখ্য শিক্ষার্থী শিক্ষকের কাছে তাদের পাস করার জন্য অনুরোধ করেছিল। এক ছাত্রী লিখেছে, ‘আমার মা ভীষণ অসুস্থ। আর্থিক অনটনের কারণে ভালো হাসপাতালে ভর্তির সামর্থ্য ছিল না। দয়া করে আমাকে পাস করিয়ে দিন’। আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমার বাবা মারা গেছেন। আমাকে এই পরীক্ষায় পাস করতে হবে’। কয়েকজন শিক্ষার্থী সোজাসাপ্টা বলেন, ‘শারীরিক অবস্থার কারণে আমি পড়াশোনা করতে পারিনি। দয়া করে আমাকে পাস করান’।

পরীক্ষকের তো চোখ কপালে উত্তরপত্রে এমন আবেগঘন বার্তা দেখে। পরীক্ষায় পাশ করার দাবিতে জামুইয়ের এক পড়ুয়ার উত্তরপত্র সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। পরীক্ষকরা কিন্তু স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দেয় যে, এই জাতীয় বার্তা লিখে কোনও লাভ হবে না এবং মূল বিষয়টি হ’ল পড়াশোনায় মনোনিবেশ করা।

বিহার বোর্ড টুকলি বন্ধ করতে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ইন্টার পরীক্ষাও অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে নেওয়া হয়। এক পরীক্ষকের কথায়, উত্তরপত্র দেখলেই বোঝা যায়। একজন শিক্ষার্থী লেখে, ‘‘হ্যালো ম্যাম বা স্যার… আমি জ্যোতি। দয়া করে আমার কথাগুলো বোঝার চেষ্টা করুন। কারণ এটা বলা আমার জন্য খুবই জরুরি। আমি জানি, আমার কথা আপনি বিশ্বাস করবেন না, কিন্তু ১০ দিন হল আমার বাবা মারা গিয়েছেন। আমি কিছুই পড়াশোনা করতে পারিনি। তার ওপর শরীরও খারাপ ছিল। কিন্তু তার পরেও আমি পরীক্ষা দিতে এসেছি। দয়া করে আমাকে নম্বর দিন। আমার অবস্থা খুব খারাপ। আশা করি আমার ব্যাপারটা বুঝতে পেরেছেন।’’

পরীক্ষক কুমারী রঞ্জু জোর দিয়ে বলেন যে, “এই জাতীয় তথ্য পরীক্ষার খাতে লেখা উচিত নয়। কারণ এটি করলে কোন নম্বর মিলবে না। শিক্ষার্থীরা প্রশ্নের সরাসরি উত্তর দিতে হবে”।

________

এই মুহূর্তে

আরও পড়ুন