হুগলি: মাস খানেক আগে ভয়াবহ বন্যায় পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছিল আমন ধানের চাষ। এবার আবার নিম্নচাপের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। চাষিদের মনে নতুন করে আতঙ্ক। বিশেষ করে আরামবাগ মহকুমার চাষিরা এই পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি চিন্তিত।
বন্যার পর যেটুকু ধান বাঁচিয়েছিল, সেগুলো এখন ফলতে শুরু করেছে। এই সময় ঝড়বৃষ্টি হলে ধানের থোড় ফেটে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ফলে ভাল ফসল পাওয়া দুষ্কর হয়ে পড়বে। আবার ভারী বৃষ্টি হলে মাটি কাদা হয়ে যাবে এবং পরবর্তী আলু চাষও ব্যাহত হবে। রোগ-পোকার আক্রমণের সম্ভাবনাও বেড়ে যাবে।
আরামবাগের রামনগরের চাষি বিদ্যাপতি বাড়ুই বলেন, “এই নিম্নচাপ এক সপ্তাহ পরে হলে এতটা ক্ষতির সম্ভাবনা থাকত না। ততদিনে ধান ফলে গিয়ে বড় জোড় গাছ মাটিতে হেলে পড়ত।” অন্যদিকে, পুরশুড়ার কেলেপাড়ার চাষি বাপ্পাদিত্য ধোলে বলেন, “আমার ১৬ বিঘা জমির প্রায় ৪ বিঘার বেশি ধান বন্যায় পচে গিয়েছে। বাকি জমির ধানে বিশেষ যত্ন নিয়েছি, কিন্তু এই ঝড়বৃষ্টিতে সেই আশাও ম্লান হয়ে যাবে।”
গোঘাট, কুমুড়শা, খানাকুলের অনেক চাষিই এই নিম্নচাপে বেঁচে থাকা ধানের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন।
প্রসঙ্গত, মাস খানেক আগের বন্যায় জেলার ১৮টি ব্লকের মধ্যে আরামবাগ মহকুমা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। প্রাথমিক হিসেবে জানা গেছে, আমন ধানসহ বিভিন্ন ফসলের প্রায় ৫৬ হাজার ২০০ হেক্টর জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, আগামী ২৪ অক্টোবরে নিম্নচাপের প্রভাব পড়তে পারে। এই পরিস্থিতিতে সব ব্লক প্রশাসনকে সতর্ক করা হয়েছে।
চাষিরা এখন আশঙ্কায় রয়েছে যে, বন্যার পর আবার নিম্নচাপে তাদের সব পরিশ্রম নষ্ট হয়ে যাবে।
________