মঙ্গলকোট: পূর্ব বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোট থানার সিউর গ্রামে দুর্গাপুজোর প্রস্তুতির সময় একটি অদ্ভুত ঘটনা ঘটে যা নিয়ে এলাকাজুড়ে বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। ক্লাবের কয়েকজন সদস্য গভীর রাত পর্যন্ত মণ্ডপসজ্জা ও প্রতিমা সাজানোর কাজ শেষ করে বাড়ি ফিরে যান। তবে মিনিট কুড়ি পরেই আর এক কর্মকর্তা মন্দিরে আসেন এবং চমকে যান—দেবীপ্রতিমার সামনে সিঁদুর দিয়ে আঁকা দু’টি পায়ের ছাপ দেখা যায়! মহাসপ্তমীর পুজোর আগে এমন ঘটনা গ্রামের মানুষের মধ্যে রীতিমতো উত্তেজনা তৈরি করে।
[আরও পড়ুন]: ছেলেদের গার্লফ্রেন্ড থাকা দারুণ সুবিধা। প্রেম ছাড়া আরও অনেক বিষয়
[আরও পড়ুন]: জরায়ুর ক্যানসার রোধে টিকাকরণে জোর রাজ্যে। বিয়ের আগেই ভ্যাক্সিন
অনেকেরই ধারণা, গ্রামের কেউ হয়তো গোপনে মন্দিরে এসে এই কাজটি করেছে। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষ এটাকে অলৌকিক ঘটনা বলেই মনে করছেন। তাই কেউই সাহস করে ওই সিঁদুরের ছাপ মুছে ফেলেনি। লক্ষ্মীনারায়ণ ক্লাবের সম্পাদক নবীনচন্দ্র মণ্ডল জানান, রাত দু’টো নাগাদ প্রতিমা সাজানোর কাজ শেষ করে তাঁরা বাড়ি যান। কিছুক্ষণ পরেই তাঁর ভাই ভোলানাথ মণ্ডল মন্দিরে এসে সেই পায়ের ছাপ দেখতে পান। তিনিও প্রথমে ভয় পেয়ে যান এবং পাড়ার লোকজনকে ডাকেন।
[আরও পড়ুন]: এবার হ্যাক হয়ে গেল জনপ্রিয় ইউটিউবার রনভীর এল্লাবদিয়ার চ্যানেল
এলাকায় এই ঘটনা ছড়িয়ে পড়তেই অনেকে মন্দিরে ভিড় করেন ওই ছাপ দেখতে। তবে পুজোর সময় ঘনিয়ে আসায় পুরোহিতরা যথারীতি পুজো শুরু করেন। কিন্তু সিঁদুরের ছাপ অক্ষত রেখেই। ক্লাবের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, গ্রামের বয়স্করা এই ঘটনাকে বিশ্বাসের চোখে দেখছেন। তাই কারও বিশ্বাসে আঘাত না করে ছাপ মুছা হয়নি। লক্ষ্মীনারায়ণ ক্লাবের এবারের পুজোর বাজেট প্রায় ৯০ হাজার টাকা। আর এর সাথে থাকছে নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং খিচুড়ি ভোগ।
________