Homeদেশভালোবাসার টানে সকল বাধা হার মানে। বর গেলেন হেঁটেই বিয়ে করতে।

ভালোবাসার টানে সকল বাধা হার মানে। বর গেলেন হেঁটেই বিয়ে করতে।

বরের বাড়ি রায়গড় জেলার সুনাখণ্ডী পঞ্চায়েত এলাকায়

তারকেশ্বর TV: গাড়িচালকরা ধর্মঘটের দাবিতে, সমস্ত ধরণের গাড়ি বন্ধ। কোনও গাড়ি না থাকা সত্ত্বেও ২৮ কিলোমিটার পথ হেঁটে বিয়ের পিঁড়িতে পৌঁছে গেলেন বর। ঘটনাটি ঘটেছে ওড়িশার রায়গড় জেলায়। সম্প্রতি বরের বিয়ের পিঁড়িতে পায়ে হেঁটে যাওয়ার একটি ভিডিও সামনে এসেছে।

বরের বাড়ি রায়গড় জেলার সুনাখণ্ডী পঞ্চায়েত এলাকায়। অন্যদিকে কনের বাড়ি সেখান থেকে প্রায় ২৮ কিলোমিটার দূরে কল্যাণসিংহপুর ব্লকের দিবলপাড়ু গ্রামে।

প্রাথমিকভাবে যখন বিয়ের তারিখ চূড়ান্ত হয়, তখন ধর্মঘটের কোনো খবর ছিল না। তবে বিয়ের ঠিক একদিন আগে গাড়ি ধর্মঘটের কথা জানানো হয় তাঁদের। এই খবরটি সবাইকে হতচকিত করে তুলেছিল। বর ও অন্যান্য যাত্রীরা কীভাবে কনের বাড়িতে পৌঁছবেন তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পরে। তা সত্ত্বেও, পাত্র বিষয়টিকে নিজের হাতে নিয়ে নেয়। গাড়ি না পেলে হেঁটেই বিয়ের অনুষ্ঠানে যাবেন বলে ঘোষণা দেন তিনি।

বিয়ের আগের দিন বাড়ির কয়েকজন সদস্যকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন বর। রাতভর তারা পায়ে হেঁটে যাত্রা করেন। বিয়ের দিন যথাসময়ে কনের বাড়িতে পৌঁছে যান তাঁরা। কিছুক্ষণ বিশ্রামের পর বিয়েতে বসেন বর। সুষ্ঠুভাবে বিয়ে সম্পন্ন হয়। তবে বিয়ের পর বর তার নববিবাহিত স্ত্রীকে নিয়ে পায়ে হেঁটে বাড়ি ফেরার ঝুঁকি না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি কয়েকজন আত্মীয়-স্বজন নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে থেকে যান। ধর্মঘট শেষ হলে নববধূকে নিয়ে গাড়ি চালিয়ে বাড়ি ফিরবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

ওড়িশার গাড়িচালকরা এই সপ্তাহের মাঝামাঝি সময়ে ধর্মঘটের ডাক দেন। জীবন বীমা, পেনশনের মতো নানা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন তাঁরা। ওড়িশা সরকার চালকদের আশ্বাস দিয়েছে যে তাদের দাবি পূরণ করা হবে।

________

এই মুহূর্তে

আরও পড়ুন