Homeহুগলীমগরায় জাল ওষুধের কারখানা। পাচার করা হত বাংলাদেশে।

মগরায় জাল ওষুধের কারখানা। পাচার করা হত বাংলাদেশে।

আসল ওষুধের সাথে রাসায়নিক মেশাত বলে জানা গেছে

তারকেশ্বর TV: রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ) মগরার নতুনপাড়া এলাকায় বেআইনি কাশির ওষুধ নকল করার সন্ধান পেল। অপরাধীরা তাদের অবৈধ কার্যকলাপ চালানোর জন্য আসল ওষুধের সাথে রাসায়নিক মেশাত বলে জানা গেছে। গোয়েন্দারা নতুনপাড়ার একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে কারখানার পর্দাফাঁস করে, যেখানে তারা এক কোটি টাকা মূল্যের কাঁচামাল, সরঞ্জাম, বিভিন্ন রাসায়নিক এবং অন্যান্য সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করে। রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল অথরিটিকে ঘটনার কথা জানানো হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মাস পাঁচেক আগে মোগরায় একটি একতলা বাড়ি ভাড়া নিয়ে ব্যবসা চালাচ্ছিলেন কয়েকজন যুবক। বাড়ির মালিক বর্তমানে কাজের জন্য বিদেশে থাকেন। গোটা পরিস্থিতি দেখে হতবাক হয়ে যান প্রতিবেশীরা। তাদের দাবি যে তারা জানতেন না যে এই বাড়িতে এই জাতীয় কার্যকলাপ চলছে। তাদের দাবি, বুধবার সন্ধ্যায় অভিযান চালায় গোয়েন্দারা। বাড়িতে কেউ উপস্থিত ছিলেন না। তল্লাশির পর বৃহস্পতিবার গভীর রাতে গোয়েন্দারা বাড়িটি  ‘সিল’ করে দেন।

গোয়েন্দা সূত্রে খবর, গত ২১ ফেব্রুয়ারি উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটায় পশুখাদ্যের বস্তা বাজেয়াপ্ত করা হয়। গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা মূল্যের ২২ বস্তা নিষিদ্ধ কাশির ওষুধ পাওয়া যায়। চালক উপেন্দ্র কুমার মাহাতোকে আটক করা হয়েছে। এসটিএফ তার বিরুদ্ধে গাইঘাটা থানায় মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে। তদন্তকারীরা প্রকাশ করেছেন যে চালক মোগরা থেকে মাদক পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। পরে তার সহায়তায় মগরায় অভিযান চালানো হয়।

একজন গোয়েন্দা রিপোর্ট করেছেন যে অবৈধ কাশির ওষুধ তৈরির সাথে যুক্ত ১৮ টি আইটেম বাড়িটি থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। মূলত আসল ওষুধের সঙ্গে বিভিন্ন রাসায়নিক মিশিয়ে নকল ওষুধ তৈরি করা হয়েছে। স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ) জানিয়েছে, ওই স্থানে উৎপাদিত নকল ওষুধ বনগাঁ সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পাচার করা হচ্ছিল। বাংলাদেশে এই ওষুধের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।

________

এই মুহূর্তে

আরও পড়ুন