কুলতলির একটি ছোট্ট গ্রাম। গ্রামে সন্ধ্যার পরপরই চারপাশ নিস্তব্ধ হয়ে যায়। এখানেই থাকেন চল্লিশ বছরের এক মূক ও বধির মহিলা, তার বৃদ্ধা মা ও ভাইয়ের সাথে। গ্রাম্য জীবনের সরলতা আর সাদামাটা চলন-বলন তাকে হয়তো একটু অন্যরকম করে গড়ে তুলেছে। সমাজের প্রতি অবাক দৃষ্টিতে তাকানো, সহজেই মানুষকে বিশ্বাস করা—এসব তার সহজাত।
মঙ্গলবার দুপুরে প্রতিদিনের মতো বাড়ি থেকে বের হন ওই মহিলা। কোথাও কিছু নেই, নিঃশব্দেই ধীরে ধীরে তার নিজের দুনিয়ায় হারিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু তিনি জানেন না, তার এই সহজ ও নিরীহ স্বভাবই হতে চলেছে তার জন্য এক কালো অধ্যায়। গ্রামের অপর প্রান্তে একটি ভাঙাচোরা রাস্তা, তার পাশেই ঝোপঝাড়। সেদিকে যেন তার চোখ চলে গেল। কিন্তু তার অজান্তেই সেখানে আগে থেকেই ওঁত পেতে বসে ছিল তার প্রতিবেশী, বছর আটান্নর এক প্রৌঢ়।
যখন মহিলাটি ঝোপের দিকে এগিয়ে গেলেন, সেই সময় সেই প্রৌঢ় তার পথে এসে দাঁড়াল। মহিলা কিছু বুঝে ওঠার আগেই সে তাকে ধরে নিয়ে যায় ঝোপের আড়ালে। তার মনের মধ্যে কী ভাবনা কাজ করছিল তা বোঝা কঠিন। হয়তো ভেবেছিল, মহিলাটি প্রতিবাদ করবে না, হয়তো চেষ্টা করলেও তাকে কেউ শুনবে না।
গ্রামে তখন চারদিক শূন্য। মহিলা আর কিছুই করতে পারলেন না। অসহায়তার নিস্তব্ধ চিৎকার যেন চারপাশের গাছপালার মাঝে হারিয়ে গেল।
এই গল্পটি দুটি পর্বে বিভক্ত।
________