HomeপাঁচমিশালিBaobab tree: মাথার উপরে ঝাঁকরা চুলের মতো পাতা। এই গাছ নিয়ে নানা...

Baobab tree: মাথার উপরে ঝাঁকরা চুলের মতো পাতা। এই গাছ নিয়ে নানা অজানা কথা

দেখলে মনে হয় এর শিকড় নিচে আর শাখা-প্রশাখা উপরে

তারকেশ্বর TV: আপনি কি জানেন যে এমন একটি গাছ রয়েছে যা তার কাণ্ডে জল সঞ্চয় করতে পারে? কিন্তু আপনি কি কখনও এমন একটি গাছের কথা শুনেছেন যা তার শাখায় জল সঞ্চয় করতে পারে? শুনতে অবাক লাগছে, তাই না? কিন্তু এটাই সত্যি। পৃথিবীতে এমন এক ধরনের গাছ আছে যার ডালে হাজার হাজার লিটার জল  ধরে রাখতে পারে। আজ এই গাছের কথা বলি।

আরও পড়ুন: বাজ পড়ে পুড়ে যেতে পারে ল্যাপটপ, মোবাইল, এসি। কিভাবে সুরক্ষিত রাখবেন জানুন

কিভাবে চিনবেন?

পৃথিবীতে বাওবাব নামে এক ধরণের গাছ রয়েছে, যা তার কাণ্ডে কয়েক হাজার লিটার জল সঞ্চয় করতে পারে। হিন্দিতে গাছটি ‘গোরক্ষী’ নামেও পরিচিত। বাওবাব গাছের বৈজ্ঞানিকভাবে স্বীকৃত নাম অ্যাডানসোনিয়া ডিজিটাটা (Adansonia Digitata)। স্থানীয়ভাবে এটি ‘বব’, ‘বোবোয়া’, ‘বোতল গাছ’ এবং ‘উল্টো গাছ’ নামেও পরিচিত। আরবি ভাষায় গাছটি ‘বু-হিবাব’ নামে পরিচিত, যার অর্থ ‘অনেক বীজযুক্ত একটি গাছ’। আফ্রিকায় এটি ‘বিশ্ব বৃক্ষ’ (The World Tree) নামে পরিচিত।

আরও পড়ুন: বিষাক্ত কেমিক্যাল বা ধোঁয়া নয়। সচেতন হন, মশা তাড়ান এই ভাবে

গাছগুলির বৈশিষ্ট্য

বাওবাব গাছ দেখলে মনে হয় এর শিকড় নিচে আর শাখা-প্রশাখা উপরে। বছরে মাত্র ৬ মাস এই গাছে পাতা থাকে। এই গাছে ৫টি পাপড়ি বিশিষ্ট ফুলও ধরে। ফুলগুলি লাল, হলুদ এবং সাদা রঙের মতো বিভিন্ন রঙে আসে। মজার ব্যাপার হলো, এই গাছটির দিকে তাকালে মনে হবে এর শাখা-প্রশাখা উপরে এবং এর শিকড় নিচে। বিশেষজ্ঞদের মতে, বাওবাব গাছের কাণ্ডে ১ লাখ ১৭ হাজার ৩৪৮ লিটার জল ধারণ ক্ষমতা রয়েছে। এজন্য এসব গাছকে ‘জীবনদানকারী গাছ’ বলা হয়। আফ্রিকার শুষ্ক অঞ্চলে সাধারণত এ ধরনের গাছ দেখতে পাওয়া যায়। আফ্রিকা মহাদেশের মাদাগাস্কারে (Madagascar) এই প্রজাতির গাছ রয়েছে, যা বহু শতাব্দী প্রাচীন। মাদাগাস্কার দেশের এফেট্টি শহরে বহু শতাব্দী প্রাচীন এই গাছ রয়েছে, যে গাছের নাম দেওয়া হয়েছে ‘টি-পট বাওবাব'(Tea Pot Baobab)। এই গাছের আনুমানিক বয়স প্রায় ১২০০ বছর। বাওবাব গাছগুলি হিবিস্কাস বা ম্যালো পরিবারের অন্তর্গত এবং ৯ টি বিভিন্ন পর্ণমোচী প্রজাতির একটি প্রজাতি। এগুলি মাদাগাস্কারে পাশাপাশি অন্যান্য আফ্রিকান দেশগুলিতেও পাওয়া যায়। একই ধরনের গাছ অস্ট্রেলিয়াতেও পাওয়া যায়। মাদাগাস্কারে, এই গাছের ৬ টি বিভিন্ন প্রকার রয়েছে, তাদের কাণ্ডের রঙ ধূসর-বাদামী থেকে লালও হয়ে থাকে। এসব গাছের ডালপালা ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত উল্টো বোতল বা নলাকার শঙ্কুর মতো আকৃতির।

আরও পড়ুন: Online ইনকামের দিক দিয়ে কোন প্লাটফর্ম এগিয়ে?

এই গাছের উপকারিতা

বাওবাব গাছ খুবই উপকারী একটি গাছ। আফ্রিকার স্থানীয় মানুষ এই গাছ ব্যবহার করে। এসব গাছের সব পাতাই ভোজ্য। গাছের ফল থেকে একটি সতেজ পানীয় তৈরি করা হয়, যা ওষুধ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। গাছের বাকল থেকে ফাইবার পাওয়া যায়, যা দড়ি এবং কাপড় তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। আফ্রিকার অনেক দেশেই এই গাছের ধর্মীয় গুরুত্ব রয়েছে।

আরও পড়ুন: এয়ার কন্ডিশনিং সিস্টেম ছাড়া আর কোন জিনিস আপনার বিল বাড়িয়ে দেয় জানেন?

কেন অবলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে?

তবে গত কয়েক দশকে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব পড়েছে এই গাছের ওপর। ২০০৫ সাল থেকে আফ্রিকার ১৩টি প্রাচীনতম গাছের মধ্যে ৯টি ধ্বংস হয়ে গেছে। সেই সঙ্গে আফ্রিকার এই প্রজাতির সবচেয়ে বড় ৬টি গাছের মধ্যে ৫টিও হারিয়ে গেছে।

________

এই মুহূর্তে

আরও পড়ুন