তারকেশ্বর TV: মীর আফসার আলী ব্যক্তিজীবন কখনো সামনে আসে না। তাঁর স্ত্রী-কন্যা থাকেন প্রচারের আলো থেকে অনেক দূরে। তবে স্ত্রীকে বিবাহবার্ষিকীর শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: চরম সিদ্ধান্ত লেখকের, ওই মলাটে বইটা বেরবে না
১৯৯৭ সালের ১৬ মে মীরের বিয়ে হয়। পেরিয়ে এসেছেন ২৭ বছর। মীরের স্ত্রী পেশায় চিকিৎসক। তাঁর নাম সোমা ভট্টাচার্য। তিনি ফ্রান্সে ছবি তুলতে ভালোবাসেন। সোমা আপাতত নীল জ্যাকেটের সঙ্গে কালো টি-শার্ট পরেছেন। মীর তার স্ত্রীর কাঁধে হাত রেখেছে। গলায় অলিভ রঙের জ্যাকেট পরেছেন তিনি। অস্তগামী সূর্যের আলোয় পুরো আকাশ লাল। ছবিটি শেয়ার করে মীর লিখেছেন, ‘হ্যাপি অ্যানিভার্সারি ডাক্তার। ২৭ বছর, তারপর আর কে গোনে…’
আরও পড়ুন: কাপড় শুকানোর ঝঞ্ঝাট এবার শেষ। সহজে বহন যোগ্য এই ছোট যন্ত্রই করবে কামাল।
মীরের এই পোস্টে শুভকামনা আছে। একজন লিখেছেন, ‘এটা সত্যিই আরও একবার প্রমাণিত… দু’জন মানুষ একসঙ্গে থাকলে দেখতে একই রকম হতে শুরু করে’। দ্বিতীয় ব্যক্তির ভাষ্য, ‘মিসেস ক্যাপ্টেন খুব সুন্দর। বিবাহবার্ষিকীতে আপনাদের দুজনকে শুভেচ্ছা’।
আরও পড়ুন: এবার হ্যাক হল টলিউড অভিনেত্রী রুক্মিণী মৈত্রের ফেসবুক প্রোফাইল
রেডিওতে কাজ নিয়েই তাদের মধ্যে আলাপ হয়। যদিও সোমা পেশায় একজন ডাক্তার। তিনি নীলরতন সরকার মেডিকেল কলেজের ছাত্রী ছিলেন। মীরের শো শোনার পর সোমা একটি ফ্যান লেটার লিখেছিলেন এবং তা রেডিও শোতে ‘সকালম্যান’ সেটা পড়েও শোনান। এরপর শিশু চলচ্চিত্র উৎসবে উপহার হিসেবে টিকিট দেওয়া হয় সোমাকে। সেখানে তাদের মুখোমুখি দেখা হয়। বন্ধুত্ব প্রস্ফুটিত হয় কথোপকথনের মাধ্যমে, তারপর প্রেমের মাধ্যমে।
আরও পড়ুন: সিসিটিভি তে সালমান খানের বাড়ির সামনে গুলি চালানো দুষ্কৃতীদের মুখ স্পষ্ট।
সোমা আর মীরের বিয়ে হয়েছে খুব ছোট পরিসরেই। দু’জনেই সেই সময় কেরিয়ারে সাফল্যের জন্য লড়াই করছিলেন। তাই ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও পরিবারের কয়েকজন সদস্যকে নিয়ে একটি সাধারণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রথমে বিয়ে রেজিস্ট্রি করেন তাঁরা, তারপর হিন্দু রীতিতে বিয়ের অনুষ্ঠান করেন তাঁরা। মুসকান নামে তাদের একটি কন্যা সন্তানও রয়েছে।
আরও পড়ুন: দেব-রুক্মিণী নয়, জিৎ-রুক্মিণী। আকাশে উড়বেন বাইকে।
বছর দুয়েক আগে রেডিও স্টেশনের চাকরি ছেড়ে দেন মীর। সকালম্যানকে এখনও মিস করেন আপামর বাঙালি। যদিও নিজের নতুন রেডিও চ্যানেল খুলেছেন তিনি। নাম ‘গল্প মীরের ঠেক’। মির্চির সানডে সাসপেন্সের জনপ্রিয়তার কারণ ছিলেন তিনি। এখন ‘গল্প মীরের ঠেক’ -ও তুমুল জনপ্রিয়।
________