শিলিগুড়ি: শিলিগুড়ির একটি বহুতল থেকে এক নার্সের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। মৃত নার্সের নাম অর্চনা থাপা (২৫)। প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যার কথা বলা হলেও, ঘটনাস্থলের পরিস্থিতি এবং স্থানীয়দের অভিযোগের কারণে এই মৃত্যুর রহস্য ঘনিয়েছে।
কী ঘটেছিল?
আনান্দবাজার পত্রিকা সূত্রে খবর, শুক্রবার রাতে শিলিগুড়ির মিলনপল্লিতে অবস্থিত একটি বহুতল থেকে অর্চনার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। এই বহুতলে বেশ কিছুদিন ধরেই অস্বাভাবিক ঘটনা ঘটছিল বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন। স্থানীয়দের দাবি, গভীর রাত পর্যন্ত এখানে অচেনা মানুষের যাতায়াত চলত। ঘটনার দিন সন্ধ্যার পর বহুতল থেকে বেশ কিছু নার্স দৌড়ে বেরিয়ে যায়। এরপর কয়েকজন ছেলে আসে। আর এখানেই ঘটনা সন্দেহের জন্ম দিয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ:
স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন যে, এই বহুতলে কোনো সিসিটিভি ক্যামেরা বা রেজিস্টার নেই। এমনকি, ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছানোর আগেই হাসপাতালের অ্যাম্বুল্যান্স এসে মৃতদেহ নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল। স্থানীয়রা এতে সন্দেহজনক মনে করে পুলিশকে খবর দেন।
পুলিশের তদন্ত:
পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। মৃতদেহে কালসিটের দাগ থাকায় আত্মহত্যা নাকি খুন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
কাউন্সিলরের অভিযোগ:
স্থানীয় কাউন্সিলর জয়ন্ত সাহা অভিযোগ করেছেন যে, নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ মৃতদেহ গোপনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল। পুলিশের উপস্থিতি না থাকলে এই ঘটনা গোপন রাখা হতে পারত বলে মনে করেন তিনি।
এই ঘটনায় কী কী প্রশ্ন উঠছে:
- অর্চনা থাপার মৃত্যুর কারণ কী? আত্মহত্যা নাকি খুন?
- এই বহুতলে কী ধরনের অস্বাভাবিক ঘটনা ঘটছিল?
- নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ কেন মৃতদেহ গোপনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল?
- পুলিশের তদন্তে কী সত্যি উঠে আসবে?
এই ঘটনা শিলিগুড়িতে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে এবং স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
________