বহু প্রতীক্ষার পর অযোধ্যায় আজ উদ্বোধন হল রামমন্দিরের। রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা করলেন স্বয়ং নরেন্দ্র মোদী। সেই মাহেন্দ্রক্ষণে উপস্থিত ছিলেন বহু বিশিষ্ট। সেই আবহে আস্ত এক রামমন্দির তৈরি করে ফেললেন হুগলির অজয় প্রামাণিক।
চুঁচুড়া পেয়ারাবাগান জগন্নাথবাড়ির পক্ষ থেকে শিল্পী অজয় প্রামাণিককে রামমন্দির তৈরি করে দিতে বলা হয়েছিল। অজয় এর আগে ঘড়ির মোড়ের ঘড়ি, ব্যান্ডেল চার্চ, ষণ্ডেশ্বরতলার মন্দির-সহ একাধিক স্থাপত্যের রেপ্লিকা তৈরি করে নজর কেড়েছেন অনেকেরই। এবার দিনদশেক আগে রামমন্দির তৈরির বরাত পেয়ে উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠেন তিনি।
আপ্লুত শিল্পী অজয় বলেন, ‘কিছু দিন ধরে আমি মন থেকেই একটা রামমন্দির তৈরি করতে চাইছিলাম। সেই সুযোগও যে এভাবে এসে যাবে, ভাবিনি। তাই বরাত পেয়েই কাজে নেমে পড়ি।’ জানা গিয়েছে, এই কাজের জন্য কোনও পারিশ্রমিক নেননি শিল্পী।
শিল্পী অজয় হাতে তেমন সময় পাননি কাজটি করার জন্য। যত দ্রুত সম্ভব উদ্যোক্তাদের কাছে রামমন্দির তৈরি করে দেওয়াটাই তাই তাঁর কাছে ছিল চ্যালেঞ্জ। ৬০ শতাংশ ফাইবার আর ৪০ শতাংশ কাগজের সংমিশ্রণে তৈরি সানবোর্ড দিয়ে রামমন্দির অবশ্য যথাসময়েই গড়ে তুলেছেন তিনি। সামাজিক মাধ্যমে মন্দিরের ছবি দেখেই কাজটি করেছেন। পেয়ারাবাগান জগন্নাথবাড়ির পক্ষ থেকে উদ্যোক্তারা যখন রামমন্দির নিতে আসেন তাঁর কাছ থেকে তখন রঙ করা চলছিল তাঁর শিল্পকাজটি। তবে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করেই তাঁরা শোভাযাত্রা-সহকারে তাঁর নির্মিত রামমন্দির নিয়ে রওনা দেন।
গোটা দেশেই রামের প্রতি মানুষের ভক্তি দেখা যাচ্ছে। রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠায় যেতে পারেননি অনেকেই। তবে টিভির পর্দায় সেই অনুষ্ঠান প্রত্যক্ষ করেছেন তারা।
________