ক্যানিং: সম্প্রতি এক অনন্য উদ্যোগের সাক্ষী হয়েছে সবাই। মাথায় চুল না থাকার কারণে সমাজে অনেক সময় হেয় প্রতিপন্ন হয়। এবার সেই সব মানুষদের জন্য বিশেষ এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বিজয়া দশমীর শুভক্ষণে, ক্যানিংয়ের জীবনতলা বাজারে এই অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়।
কী ঘটল?
এই অনুষ্ঠানে কালিকাপুর ও মঠেরদীঘি পঞ্চায়েত এলাকার শতাধিক ‘টাক মাথা’র মানুষকে সম্মান জানানো হয়। তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয় নতুন পাঞ্জাবী ও গোলাপ ফুল। এই উদ্যোগের মূল উদ্দেশ্য হল, সমাজে একাংশ মানুষের মধ্যে যে হীনমন্যতার বোধ কাজ করে, তা দূর করা।
বিধায়কের মন্তব্য
এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শওকত মোল্লা। তিনি বলেন, “সবই ঈশ্বরের দান। এ নিয়ে হীনমন্যতা বা মন খারাপের কোনও বিষয় নেই। যাঁদের মাথায় চুল নেই তাদের সংবর্ধনা দেওয়া হলো। আপাতত দুটি গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে শুরু হল এই কর্মসূচি।” তিনি আরও জানান, আগামী দিনে গোটা বিধানসভা এলাকা জুড়ে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হবে।
মানুষের প্রতিক্রিয়া
এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত একজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “জীবনে অনেক রকম তেল, ওষুধ মেখেছি। কোনও কিছুতেই কাজ হয়নি। ৪০ বছরেই সব চুল উঠে গেছে। আমাদের মনোবল ভেঙে গিয়েছে।” বিধায়কের এই উদ্যোগে তিনি খুশি।
একটি উদাহরণ
এই উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে। সমাজে অনেক সময় আমরা ছোটখাটো বিষয় নিয়ে মানুষকে হেয় করি। কিন্তু এই অনুষ্ঠানটি সবার কাছে একটা বার্তা দিয়েছে যে, সবাই সমান। কোনও মানুষকে তার শারীরিক বৈশিষ্ট্যের জন্য হেয় করা উচিত নয়।
________