HomeAllSilent Movement: শহরের নীরব যুদ্ধ: একটি রহস্যময় কাহিনী

Silent Movement: শহরের নীরব যুদ্ধ: একটি রহস্যময় কাহিনী

কিন্তু এই নীরব যুদ্ধের পেছনে আসল কারণ কী?

কালীপুজোর অন্ধকার রাত। শহরের মৃদু শ্বাসে মিশে আছে এক অদ্ভুত সুর। শান্তির রাজ্যে বাজ পড়েছে একটি নতুন আদেশের। পুজোর মণ্ডপগুলির মাইক এবং সাউন্ড বক্সের দাপটকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য, শহরের রক্ষাকারীরা একটি অদৃশ্য জাল বুনেছে।

এই অদৃশ্য জালের তন্তুগুলি এখন শহরের প্রতিটি কোণে ছড়িয়ে পড়েছে। দিনের আলোতে, শিল্পাঞ্চলে ৭৫, বাজারে ৬৫ এবং বসতিতে ৫৫ ডেসিবেলের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতে হবে শব্দের তীব্রতা। আর হাসপাতালের আশপাশে, শান্তির রাজ্যে, ৫০ ডেসিবেলের বেশি শব্দ হতে পারবে না।

রাতের আঁধারে, শিল্পাঞ্চল এবং বসতিতে যথাক্রমে ৭০ এবং ৪৫ ডেসিবেলের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতে হবে শব্দ। বাজারে ৫৫ এবং হাসপাতালের আশপাশে ৪০ ডেসিবেলের বেশি শব্দ হতে পারবে না।

পুজো মণ্ডপের বাইরে রাস্তায় মাইক্রোফোন বা সাউন্ড বক্স বসানো নিষিদ্ধ। এই নিয়ম ভাঙলে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত।

শহরের রক্ষাকারীরা এই নতুন আদেশের মাধ্যমে একটি নীরব যুদ্ধ শুরু করেছে। একটি যুদ্ধ যেখানে শব্দের তীব্রতা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে শান্তি বজায় রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। এই যুদ্ধে কে জিতবে, তা সময়ই বলে দেবে।

কিন্তু এই নীরব যুদ্ধের পেছনে আসল কারণ কী? শুধুমাত্র শান্তি রক্ষাই কি এই আদেশের একমাত্র উদ্দেশ্য? না অন্য কিছু রহস্য লুকিয়ে আছে এই আদেশের পেছনে?

কিছু মানুষের মতে, এই আদেশের পেছনে কোনও অতিমানবীয় শক্তির হাত রয়েছে। তারা বলছে, এই আদেশের মাধ্যমে শহরে শান্তি ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু এই শান্তি কি সত্যিই সকলের জন্যই ভালো?

আবার অনেকে বলছেন, এই আদেশের পেছনে কোনও রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র লুকিয়ে আছে। তারা বলছে, এই আদেশের মাধ্যমে মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

এই রহস্যময় ঘটনার সত্যি কী? কেউ কি জানে এই নীরব যুদ্ধের আসল উদ্দেশ্য কী?

শহরের রাস্তায় রাস্তায় মানুষ এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে। কেউ কেউ এই আদেশকে সমর্থন করছে, আবার কেউ কেউ এর বিরোধিতা করছে।

শহরের এই নীরব যুদ্ধের পরিণতি কী হবে, তা সময়ই বলে দেবে। কিন্তু একটা বিষয় নিশ্চিত, এই যুদ্ধের প্রভাব শহরের প্রতিটি মানুষের জীবনে পড়বে।

কে জানে, হয়তো এই রহস্যের উন্মোচনেই লুকিয়ে আছে এই শহরের ভবিষ্যৎ।

|| সমাপ্ত ||

এই মুহূর্তে

আরও পড়ুন