ঝাড়খণ্ড: গোটা গ্রামে একটাই বাড়িতে রাতে আলো জ্বলে! পুরো এলাকায় একটি মাত্র পরিবারের বসবাস। এটা কোনো গল্প নয়; এটি একটি সত্য ঘটনা।
রাঁচি থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে খুন্তি রানিয়া ব্লকে অবস্থিত একটি গ্রাম নিয়ে আলোচনা চলছে। গ্রামটির নাম চেংরে এবং এটি ৮৭ হেক্টর এলাকা জুড়ে রয়েছে। মজার ব্যাপার হলো, এই গ্রামে একটি মাত্র পরিবারের বাস।
এখানে একাধিক বাড়ি থাকলেও সেগুলোতে এখন আর কেউ থাকেন না। দিনের পর দিন সেগুলো খালি পড়ে থাকে।
আপনি যখন এরকম একটি গ্রাম দেখেন, তখন আপনি অবাক না হয়ে পারবেন না। কেন এখানে আর কেউ বাস করে না? বাড়িঘর ফেলে কোথায় গেল সবাই?
[আরও পড়ুন]: মোবাইল না টিভি – আপনার শিশুর জন্য কোনটি বেশি ক্ষতিকারক? জানুন
বর্তমানে গ্রামে একটি মাত্র পরিবার বাস করে। মোট সদস্য সংখ্যা প্রায় নয় জন। এর মধ্যে পাঁচজন পুরুষ ও চারজন নারী। জীবিকা নির্বাহ করতে গিয়ে নানা প্রতিকূলতার সম্মুখীন হতে হয় তাদের। তবুও তারা এখানেই থেকে যেতে পছন্দ করেন। গ্রামের নির্জন অবস্থা জানতে চাইলে আসল কারণটা স্পষ্ট হয়ে যায়।
[আরও পড়ুন]: আমার মা হওয়ার সময় হয়েছে। কিন্তু লোকে আমাকে যে বদনাম দিয়েছে, তাতে আমার পক্ষে বিয়ে করাই…
ওই পরিবারের সদস্য মণীশ জানান, ২০ বছর আগের ছবিটা অন্যরকম ছিল। গ্রামে আরও প্রায় ১২ থেকে ১৪টি পরিবার বাস করত। কিন্তু খাবার ও আয়ের অভাবে তারা ঘর ছেড়েছেন। তারা এখন অন্যত্র বসবাস করছেন।
[আরও পড়ুন]: বজ্রপাতের সময় ‘স্নান করা’, ‘বাসন মাজা’ মৃত্যুর কারণ হতে পারে
মণীশ বলেন, “ধীরে ধীরে সবাই গ্রাম ছেড়ে চলে গেছে, আর এখন এখানে শুধু আমরাই আছি। জীবিকা নির্বাহ করা খুব কঠিন। গরু-ছাগল চড়িয়ে আমরা কত আয় করতে পারি? অনেক সময় আমরা প্রয়োজনের তাগিদে সেগুলো বিক্রি করে দেই”।
[আরও পড়ুন]: অপ্রত্যাশিত বিস্ময়ের সম্মুখীন হন রচনা ব্যানার্জী। জানুন কি ঘটেছিলো।
গ্রামের একমাত্র পরিবারের সদস্য উল্লেখ করেছেন যে এখানে যাঁরা থাকতেন তাঁদের সন্তানরা রাঁচিতে পড়াশোনা করত। ছেলেমেয়েরা ভালো চাকরি পেয়ে যায়। তারপর তারা জমি-জমা ও বাড়িঘর ফেলে বাবা-মাকে সঙ্গে নিয়ে সেখানে চলে যায়।
________