Homeদেশআম্বানি, আদানি, টাটা - এক বিশাল দৌড়ে সামিল। এতে কার লাভ? কে...

আম্বানি, আদানি, টাটা – এক বিশাল দৌড়ে সামিল। এতে কার লাভ? কে কত টাকা দেবে? জানুন

রেটিংসের রিপোর্টে এমনটাই বলা হয়েছে

তারকেশ্বর TV: আগামী ১০ বছরে টাটা, রিলায়েন্স, আদানি সহ ভারতের বড় বড় কোম্পানিগুলো প্রায় ৮০০ বিলিয়ন ডলার ইনভেস্ট করতে চলেছে। এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল (S&P Global) রেটিংসের রিপোর্টে এমনটাই বলা হয়েছে। মজার ব্যাপার হলো, এই ইনভেস্টমেন্ট গত ১০ বছরের তুলনায় প্রায় তিনগুণ বেশি! ভারতীয় কোম্পানিগুলো এখন দ্রুত নিজেদের পসার বাড়াতে আর বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিজেদের এগিয়ে নিয়ে যেতে চাইছে। ওই ৮০০ বিলিয়নের প্রায় অর্ধেকই রিলায়েন্স, আদানি আর টাটা গ্রুপের মতো বড় কোম্পানিগুলো থেকে আসবে।

রিপোর্ট অনুযায়ী, এই ইনভেস্টমেন্টের ৪০% নতুন নতুন সেক্টরে যাবে, যেমন গ্রীন হাইড্রোজেন, ক্লিন এনার্জি, এভিয়েশন, সেমিকন্ডাক্টর, ইলেকট্রিক গাড়ি আর ডেটা সেন্টার। টাটা, ভেদান্ত, আদানি, রিলায়েন্স, আর জেএসডব্লিউ পরবর্তী ১০ বছরে এসব সেক্টরে প্রায় ৩৫০ বিলিয়ন ডলার ঢালবে।

মুকেশ আম্বানি (Mukesh Ambani) আর গৌতম আদানি (Goutam Adani) কতটা ইনভেস্ট করবেন?

এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল রেটিংসের ক্রেডিট বিশ্লেষক নীল গোপালকৃষ্ণনের মতে, “ভারতীয় কোম্পানিগুলো তাদের মোট খরচের ৪০% নতুন ব্যবসায় ইনভেস্ট করবে। যেখানে থাকবে গ্রীন হাইড্রোজেন (Green Hydrogen), ক্লিন এনার্জি, সেমিকন্ডাক্টর, ইলেকট্রিক যানবাহন (EV) আর ডেটা সেন্টার (Data Centre)।” রিলায়েন্সের হাল ধরেছেন মুকেশ আম্বানি, আর আদানি গ্রুপের হাল ধরছেন গৌতম আদানি।

নবভারত টাইমসের রিপোর্টে বলা হয়েছে, এই ইনভেস্টমেন্টের মাধ্যমে ভারত সরকারের সেই লক্ষ্য পূরণের দিকেই এগোচ্ছে। যেখানে জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে একটা শক্তিশালী অর্থনীতি গড়ে তোলা হবে। পৃথিবীর তৃতীয় বৃহত্তম কার্বন নিঃসরণকারী দেশ হিসেবে, ভারতকে ২০৭০ সালের মধ্যে নেট-জিরো কার্বন নির্গমন লক্ষ্যে পৌঁছাতে গেলে প্রায় ১২.৪ ট্রিলিয়ন ডলার ইনভেস্ট করতে হবে।

মাহিন্দ্রা, বীরলা, হিরো কোন রণনীতি নিয়ে এগোচ্ছে?

কিছু কোম্পানি নতুন সেক্টরে ঢুকলেও, অন্যরা তাদের পুরনো ব্যবসা আরও বড় করতে মনোযোগ দেবে। বীরলা (Birla), মহিন্দ্রা (Mahindra), হিন্দুজা (Hinduja Group), হিরো (Hero), আইটিসি (ITC), বাজাজ (BAJAJ) আর মুরুগাপ্পার মতো গ্রুপগুলো তাদের পুরনো সেক্টরেই ইনভেস্ট করে আরও লাভ আর স্কেল বাড়াতে চাইছে।

এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল রেটিংসের মতে, যদি তারা আগের দুই বছরের ইনভেস্টমেন্টের গতি ধরে রাখে, তবে আগামী দশকে এই পুরনো ব্যবসাগুলোতে প্রায় ৪০০-৫০০ বিলিয়ন ডলার ইনভেস্ট হতে পারে।

তাছাড়া, রিপোর্ট বলছে, বড় বড় কোম্পানির জন্য তাদের মূল ব্যবসা শক্তিশালী রাখা খুবই জরুরি। যেহেতু এই বড় ইনভেস্টমেন্টের জন্য তাদের ঋণও বাড়তে পারে, তাই ক্রেডিট প্রোফাইল ঠিক রাখতে গেলে পুরনো ব্যবসাগুলো আরও মজবুত করতে হবে।

যদি কোনো ভুল হয়, তাহলে কোম্পানিগুলোর ক্রেডিট স্কোর খারাপ হতে পারে। সেজন্য তাদের কৌশলগুলো সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

________

এই মুহূর্তে

আরও পড়ুন