আজ অযোধ্যায় রামমন্দিরের উদ্বোধন হয়ে গিয়েছে, রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা হয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে পুজো। দেশ জুড়ে চলেছে এই বিশেষ দিনটির উদযাপন।
অন্যান্য জায়গার মতো সমগ্র ডুয়ার্সের বিভিন্ন জায়গায় চলেছে শোভাযাত্রা, মন্দিরে-মন্দিরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে পুজো। ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনিতে মুখরিত চারদিক, মাতোয়ারা ডুয়ার্সবাসী। ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি তুলে ধ্বজা উড়িয়ে চলছে শোভাযাত্রা। পুরুষ-মহিলা, শিশু সকলেই মেতে উঠেছে এর আনন্দে। রাম, লক্ষণ সেজে ঢাক-ঢোল বাজিয়ে শোভাযাত্রায় অংশ নিয়েছে শিশুরা। মালবাজার, নাগরাকাটা, বানারহাট-সহ বিভিন্ন জায়গায় চলছে এই আনন্দোল্লাস।
মাল ব্লকের বাগরাকোট গ্রাম পঞ্চায়েতের টোটোগাঁও বস্তিতে রামলালার উৎসব পালন করলেন এলাকার কৃষক পরিবারের মানুষজন। কিন্তু এই আনন্দের মধ্যেও একটু ছন্দপতন আছে। প্রতিবছর তিস্তা নদীর জলে নষ্ট হয় কৃষিজমি। এবারেও হয়েছে। ইতিমধ্যেই ভেসে গিয়েছে বহু ঘরবাড়ি। হয়েছে অনেক ক্ষয়ক্ষতি। তাই তাঁরা চান, রামলালা তাঁদের গ্রাম রক্ষা করুন, তাঁদের ফসল রক্ষা করুন, তাঁদের জীবনও রক্ষা করুন।
গত কয়েকটি বর্ষায় তিস্তা নদীর গ্রাসে কৃষিজমি নষ্ট হয়ে গিয়েছে বহুল পরিমাণে। ভেসে গিয়েছে বহু জমিজমা এবং ঘরবাড়ি। তাই এবার রামলালার কাছে প্রার্থনা এই এলাকার কৃষকদের যে, আর যেন তিস্তা নদী তাঁদের কৃষিজমি নষ্ট না করে। এদিন গ্রামের মহিলা-পুরুষ-শিশুরা মিলে রামলালার ছবি এবং পতাকা নিয়ে এলাকায় একটি র্যালি করেন। তাঁদের মুখেও একটাই ধ্বনি– ‘জয় শ্রীরাম’! ক্ষতিগ্রস্ত কৃষিজমির চারদিকে এদিন তাঁরা গেরুয়া পতাকা লাগিয়ে দেন। যেন কৃষিজমিকে রক্ষা করবেন রামলালা। সকলেরই আশা, এবার রামলালা তাঁদের প্রার্থনা শুনবেন!
________