তারকেশ্বর TV: সন্তানের একগুঁয়েমি হোক বা বদমেজাজি, আজকাল অনেক বাবা-মা তাদের হাতে মোবাইল ডিভাইস তুলে দেন বা টিভির সামনে বসিয়ে দেন। তবে এটি একটি শিশুর শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার উপর কী নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে সে সম্পর্কে আপনি কি সচেতন? প্রকৃতপক্ষে, এই অভ্যাস শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশকে উল্লেখযোগ্যভাবে বাধাগ্রস্ত করে।
[আরও পড়ুন]: ট্রেন মিস? জানেন পরবর্তী কটা স্টেশন পর্যন্ত আপনার টিকিট ভ্যালিড থাকবে?
আজকাল, মানুষ এত আধুনিক হয়ে উঠেছে যে এমনকি ছোট বাচ্চারা ব্যক্তিগত মোবাইল ডিভাইস এবং ট্যাবলেটগুলির মালিক হতে শুরু করছে। আর সেগুলি ক্রমাগত ব্যবহার করছে। তবে মোবাইল ডিভাইস ও ট্যাবলেটের এই মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার শিশুদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর বলে মনে করেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। তারা বারবার জোর দেয় যে শিশুদের তাদের স্ক্রিন টাইম হ্রাস করা উচিত। কারণ এটি তাদের মানসিক সুস্থতার উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। অতএব, শিশুদের ফোন বা টেলিভিশন দেখার জন্য খুব বেশি সময় ব্যয় করা উচিত নয়। কারণ এটি বিভিন্ন সমস্যার কারণ হতে পারে।
[আরও পড়ুন]: প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধির ১৮ তম কিস্তির টাকা এই তারিখে পাবেন।
মোবাইল ডিভাইস ও স্ক্রিন টাইম শিশুদের জন্য খুবই ক্ষতিকর হতে পারে। এগুলি মানসিক এবং শারীরিক বিকাশ উভয়কেই প্রভাবিত করে। অল্প বয়সে ফোন ও টিভিতে অতিরিক্ত সময় ব্যয় ব্যক্তিত্বের বিকাশে বাধা সৃষ্টি করতে পারে। সবচেয়ে উদ্বেগজনক ফলাফলগুলির মধ্যে একটি হ’ল শিশুদের সামাজিক বৃত্ত হ্রাস। এখনকার বাচ্চারা কম বন্ধুত্ব তৈরি করছে। তবে এর পিছনে কোভিড -১৯ মহামারীরও একটা ভূমিকা আছে।
[আরও পড়ুন]: ‘তবা তবা’ গানে বৃদ্ধাদের পারফরমেন্স। তাক লাগিয়ে দিল। দেখুন ভিডিও
টিভি এবং মোবাইল ডিভাইস উভয়ই শিশুদের জন্য খুব ক্ষতিকারক হতে পারে। বাচ্চাদের স্ক্রিনের সামনে খুব বেশি সময় ব্যয় করা ঠিক নয়। এই অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইম ধীরে ধীরে তাদের চিন্তাশক্তির হ্রাস করতে পারে।
[আরও পড়ুন]: চলমান সিঁড়ির এই বিষয় টি জানেন?
অতিরিক্ত ফোন ব্যবহার ও টিভি দেখার ফলে শিশুদের মস্তিষ্ক দুর্বল হয়ে যেতে পারে। যার ফলে তাদের আলোচনা ভিত্তিক চিন্তা করার ক্ষমতা কমে যায়। ফোন কতটা বিপজ্জনক হতে পারে তা শিশুদের বোঝানো জরুরি। তবে তারা প্রতিদিন একটু একটু করে টিভি দেখতে পারেন।
________