বেশ কিছুদিন ধরেই, মোটামুটি মাসআষ্টেক ধরে, এক অজানা রোগের কথা শোনা যাচ্ছিল। যে রোগ ছড়িয়ে পড়তে পারে গোটা বিশ্বে। যা ঘটনাচক্রে করোনার মতো কিংবা তার চেয়েও বেশি মারণ ক্ষমতাসম্পন্ন হতে পারে! এবং ফের এই রোগ ভয়ংকর এক মহামারি বা অতিমারির চেহারা নিতে পারে। যার জেরে মৃত্যুমিছিল অবধারিত। এ নিয়ে একটা আতঙ্ক তৈরি হয়েছিল। ঠিকই, তবে সেটা এতদিন একটা অনুমান বা আশঙ্কার জায়গায় ছিল বলে মানুষ হয়তো একটু কম ভয় পাচ্ছিলেন।
এবার সেই অবস্থা রইল না। সুইৎজারল্যান্ডের দাভোসে গত সোমবার থেকে শুরু হয়েছে পাঁচদিনের বিশ্ব ইকোনমিক ফোরাম। সেই বৈঠকেও এবার বিশ্ব নেতাদের আলোচনায় উঠে এল অজানা ওই ভাইরাসের কথা। প্রসঙ্গত, অজানা ভাইরাসঘটিত ওই রোগটির নামকরণ করা হয়েছে ‘ডিজিজ-এক্স’! এবার সেই বৈঠকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তথা ‘হু’-র প্রধান টেড্রস অধানম ঘেব্রেইসুস সতর্ক করে বলেছেন, এই ডিজিজ-এক্স মহামারি ছড়াতে পারে। তাঁর আশঙ্কা, করোনার চেয়েও ২০ গুণ বেশি মানুষ মারবে সেই অজানা ভাইরাসে!
১৯৭৬ সালে প্রথম ইবোলা ভাইরাস চিহ্নিত করেছিলেন বিজ্ঞানী জিন-জ্যাকাস মুয়েম্বি। সেই জিন-জ্যাকাস মুয়েম্বিই এই ডিজিজ-এক্সের কথা সামনে এনেছেন। তিনি বলছেন, করোনার থেকেও মারাত্মক সংক্রামক ভাইরাল স্ট্রেন ডিজিজ-এক্স। এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়লে আরও এক মহামারির মুখোমুখি হতে হবে বিশ্বকে।
এক্স ভাইরাস নাকি সামনের দিনে ভয়ংকর রূপ নিতে পারে। এমনটাই দাবি ব্রিটেনের ভ্যাকসিন টাস্ক ফোর্সের। তাদের মত, ডিজিজ এক্স কেড়ে নিতে পারে কমপক্ষে পাঁচ কোটি মানুষের জীবন। এর ভয়াবহতা বোঝাতে ১৯১৮-১৯ সালের স্প্যানিশ ফ্লু মহামারির তথ্য তুলে ধরেছে ব্রিটেনের ওই সংস্থা।
কোথা থেকে এল এই ডিজিজ-এক্স? ইবোলা ভাইরাসের জিনের গঠন বদলে গিয়ে, অর্থাৎ, জেনেটিক মিউটেশন ঘটে এই নতুন ধরনের ভাইরাল স্ট্রেনের জন্ম হয়েছে। তবে এই ভাইরাস নিয়ে বিস্তারিত তথ্য এখনও মেলেনি।
________