Homeলাইফ-স্টাইলCONGO fever: প্রাণঘাতি কঙ্গো জ্বর হলে কি করবেন, আর কি করবেন না...

CONGO fever: প্রাণঘাতি কঙ্গো জ্বর হলে কি করবেন, আর কি করবেন না জানুন

নিজেকে রক্ষা করার জন্য কিছু সতর্কতা মেনে চলা প্রয়োজন

তারকেশ্বর TV: এই বছর যোধপুরে প্রথম কঙ্গো জ্বরের ঘটনা মারাত্মক পাদুর্ভাব দেখা গেছে। আহমেদাবাদে এক মহিলার মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। ওই মহিলা ছিলেন যোধপুরের কাছে নান্দা কালা গ্রামের বাসিন্দা। ৩০ সেপ্টেম্বর তাকে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চার দিন পর, তার পরিবার তাকে আহমেদাবাদে নিয়ে যায়, এবং পুনের একটি ল্যাবে তার নমুনা পাঠানো হয়। যেখানে কঙ্গো জ্বরের উপস্থিতি নিশ্চিত হয়। এ ঘটনা ২০১৯ সালের প্রাদুর্ভাবের মতোই। যেখানে যোধপুরে দুইজন মারা গিয়েছিলেন। স্বাস্থ্য বিভাগ এখন আরও বেশি সতর্ক।

কঙ্গো জ্বর, যা ক্রিমিয়ান-কঙ্গো হেমোরেজিক ফিভার নামেও পরিচিত। একটি ভাইরাসজনিত রোগ। সাধারণত গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়ার মতো গৃহপালিত প্রাণীদের গায়ে বসবাসকারী এঁটুলির (Tick) দ্বারা ছড়ায়। যারা এই প্রাণীগুলির দেখাশোনা করেন, তাদের এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। প্রথম এই রোগ ক্রিমিয়ায় ১৯৪৪ সালে সনাক্ত হয়েছিল এবং পরে ১৯৬৯ সালে কঙ্গোতে। সাধারণত এটি পশ্চিম ও পূর্ব আফ্রিকায় দেখা যায় এবং মৃত্যুর হার অনেক বেশি, ৩০ থেকে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত।

লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে হঠাৎ করে জ্বর, চোখে জ্বালা, আলোতে অস্বস্তি, মাথা ঘোরা, এবং তীব্র পেশির ব্যথা। এছাড়াও পিঠে ব্যথা, বমি এবং গলা ভাঙা মতো লক্ষণ দেখা দিতে পারে। রোগটি বাড়তে থাকলে রক্তের প্লেটলেট সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায়।

কঙ্গো জ্বর থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্য কিছু সতর্কতা মেনে চলা প্রয়োজন। বিশেষ করে যেখানে প্রাণীর সঙ্গে সরাসরি কাজ করতে হয় বা এঁটুলি সঙ্ক্রমণের ঝুঁকি থাকে।

করণীয়:

  • সুরক্ষামূলক পোশাক পরুন: খামার বা প্রাণীর আশেপাশে কাজ করলে, লম্বা হাতাওয়ালা পোশাক, গ্লাভস এবং বুট পরা উচিত।
  • এঁটুলি প্রতিরোধক ব্যবহার করুন: ত্বক ও কাপড়ে এঁটুলি প্রতিরোধক, যেমন ডিইইটি (DEET) যুক্ত প্রোডাক্ট ব্যবহার করুন।
  • এঁটুলি পরীক্ষা করুন: উচ্চ ঘাস বা প্রাণীদের আশেপাশে থাকলে নিজের শরীর, পোষা প্রাণী বা গৃহপালিত প্রাণীদের শরীরে ভালো ভাবে খেয়াল করুন – এঁটুলি আছে নাকি।
  • ভালো হাইজিন বজায় রাখুন: প্রাণী, প্রাণীজাত পণ্য বা মাংস হাত দেবার পর ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন।
  • সঠিকভাবে প্রাণী পরিচালনা করুন: যেখানে কঙ্গো জ্বরের ঝুঁকি থাকে, সেখানে প্রাণী ধরার সময় গ্লাভস পরুন।
  • সংক্রমিত ব্যক্তিদের আলাদা রাখুন: কঙ্গো জ্বরে আক্রান্ত কাউকে আলাদা রাখা উচিত যাতে রোগ না ছড়ায়।
  • প্রাথমিক চিকিৎসা নিন: যদি এঁটুলি কামড়ায় বা প্রাণীর সংস্পর্শে এসে হঠাৎ জ্বর বা পেশির ব্যথা দেখা দেয়, দ্রুত ডাক্তার দেখান।

যা করা উচিত নয়:

  • রক্ত বা টিস্যুর সরাসরি সংস্পর্শ এড়ান: সংক্রমিত প্রাণী বা ব্যক্তির রক্ত বা তরল স্পর্শ করবেন না। যদি সুরক্ষামূলক পোশাক না থাকে।
  • এঁটুলি খালি হাতে ধরবেন না: এঁটুলি সরানোর সময় টুইজার বা গ্লাভস ব্যবহার করুন, খালি হাতে ধরবেন না।
  • সংক্রমিত রোগীর কাছাকাছি যাবেন না: কঙ্গো জ্বরের লক্ষণযুক্ত ব্যক্তির কাছ থেকে দূরে থাকুন। যদি আপনি সঠিক সুরক্ষা ব্যাবস্থা না নেন।
  • কাঁচা বা আধা-পাকা মাংস খাবেন না: সংক্রমিত প্রাণীর মাংস ভালোভাবে রান্না না হওয়া পর্যন্ত খাবেন না।
  • লক্ষণগুলো উপেক্ষা করবেন না: এঁটুলি কামড়ানোর পর যদি কোনো লক্ষণ দেখা দেয়, দেরি না করে ডাক্তার দেখান।
  • মাটিতে শোবেন না: এঁটুলিপ্রবণ এলাকায় সরাসরি মাটিতে শোবেন না, এঁটুলি ত্বকে আটকে যেতে পারে।

এই সতর্কতাগুলি মেনে চললে কঙ্গো জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই কমানো সম্ভব।

________

এই মুহূর্তে

আরও পড়ুন