তারকেশ্বর TV: জলপাইগুড়িতে ট্রেন দুর্ঘটনার খবর গোটা দেশ নাড়িয়ে দিয়েছিল। এই ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন একাধিক যাত্রী। আহত হয়েছেন অনেকেই। একের পর এক ট্রেন দুর্ঘটনা সবাইকে আতঙ্কিত করে তুলেছে। যখনই এ ধরনের ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটে তখনই যাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে চরম উদ্বেগ দেখা দেয়। তবে ট্রেনে এমন কিছু কোচ রয়েছে, যেখানে যাত্রীদের নিরাপদে যাত্রার সম্ভাবনা বেশি। সর্বোপরি সব দুর্ঘটনার পর এ ধরনের কোচের ক্ষতি কম হয়। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন ধরনের কোচ কেমন।
[আরও পড়ুন]: কমবে ব্রণ, উজ্জ্বল হবে ত্বক। রসুন খেলেই হবে ম্যাজিক।
জানা গেছে, ট্রেন দুর্ঘটনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয় সাধারণ কোচগুলোর। কারণ এগুলি ইঞ্জিনের কাছাকাছি এবং পিছনে থাকে। যখন এই কোচগুলি সামনের বা পিছনের সাথে সংঘর্ষ হয়, তখন সেগুলিই প্রথম প্রভাবিত হয়। এ ছাড়া এসব কোচে খালি জায়গার চেয়ে অনেক বেশি যাত্রী থাকে, যার ফলে এসব কোচে প্রাণহানি ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হয়। তবে প্রতিটি যাত্রীবাহী ট্রেনে এমন কিছু কোচ থাকে যেগুলো দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে ক্ষতির আশঙ্কা কম।
[আরও পড়ুন]: ব্যায়াম না করলেও হুড়মুড়িয়ে কমবে শরীরের চর্বি। পাতে রাখুন এই রুটি
[আরও পড়ুন]: জরায়ুর ক্যানসার রোধে টিকাকরণে জোর রাজ্যে। বিয়ের আগেই ভ্যাক্সিন
[আরও পড়ুন]: চুল ঝড়ে যাচ্ছে? টাক? রান্না ঘরেই আছে সমাধান।
সংঘর্ষের তীব্রতা বাড়লে ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রতিটি কোচ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এর প্রভাব কোথাও না কোথাও সব যাত্রীদের ওপর পড়তে পারে। তবে কিছু কোচ আছে যেগুলোর ক্ষতির আশঙ্কা অন্য কোচের তুলনায় কম। অনেকে মনে করেন, এসি কোচে প্রাণঘাতী পরিস্থিতির ঝুঁকি কম।
এসি কোচগুলি তুলনামূলকভাবে নিরাপদ হিসাবে বিবেচিত হয় কারণ এগুলি ট্রেনের মাঝখানে অবস্থিত। ট্রেনের সামনে সংঘর্ষ হলে এসি কোচে প্রভাব সাধারণ কোচের চেয়ে কম পড়বে। এছাড়া নিয়মিত ও স্লিপার কোচের তুলনায় এসি কোচে ভিড় কম। এর ফলে দুর্ঘটনার ক্ষেত্রেও ক্ষয়ক্ষতি কমবে বলে মনে করা হচ্ছে।
যে কোনও ট্রেন দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে সবচেয়ে নিরাপদ জায়গা হল যখন আপনি ট্রেনের মাঝখানে থাকেন। মাঝের বগিতে সরাসরি ধাক্কা লাগার সম্ভাবনা খুবই কম। ফলে প্রাণঘাতী আঘাতের সম্ভাবনাও হ্রাস পাবে।
________