তারকেশ্বর TV: বঙ্গবাসী কি এই মাসে আরেকটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রত্যক্ষ করবে? ধীরে ধীরে ঘনীভূত হচ্ছে আশঙ্কার মেঘ। পূর্বাভাস, বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। শুক্রবার থেকে সাগর উত্তাল হয়ে উঠবে। মৎস্যজীবীদের বৃহস্পতিবারের মধ্যে সমুদ্র থেকে ফিরে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: এবার পকেটে আইফোন থাকলে বোঝাই যাবে না। অ্যাপেল আনতে চলেছে স্লিম ভার্সন
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সোমবার থেকে দক্ষিণবঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আগামী সাতদিন এই দুর্যোগ অব্যাহত থাকবে। সপ্তাহান্তে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা আরও বাড়বে। আবহাওয়া দফতরের পূর্ব-আঞ্চলিক অধিকর্তা সোমনাথ দত্ত বলেন, “বুধবার দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্ত নিম্নচাপে পরিণত হবে। প্রাথমিকভাবে ঘূর্ণিঝড়টি উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হবে। শুক্রবারের মধ্যে এই নিম্নচাপ গভীর নিম্নচাপে রূপান্তরিত হবে। শুক্রবার থেকে বঙ্গোপসাগরে উত্তাল থাকবে। এই গভীর নিম্নচাপ ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। তাই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার মধ্যে মৎস্যজীবীদের উপকূলে ফিরে আসতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: “Amazon বা Nykaa থেকে গিফট আছে” – এমনই বলে চিট করা হত। নেতাজি নগরে রহস্য কি
সোমবার ফের ভারী বৃষ্টি হয়েছে। মঙ্গলবারও কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ঝড়টি ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া বইবে। বৃষ্টিপাত চলবে বুধবার পর্যন্ত। বৃহস্পতিবার কোনও সতর্কতা না থাকলেও শুক্রবার থেকে ফের বৃষ্টি বাড়বে দক্ষিণবঙ্গে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, শুক্রবার পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা পশ্চিম মেদিনীপুর ও উত্তর ২৪ পরগনাতে। উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব পশ্চিম মেদিনীপুর, কলকাতা, হুগলি, হাওড়া, ঝাড়গ্রাম এবং বাঁকুড়ায় ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে।
________