তারকেশ্বর TV: এক দশক আগে স্মার্ট গ্লাস উন্মোচন করেছিল গুগল। সে সময় এটি ঘিরে ছিল উত্তেজনা ছিল দেখার মত। তবে এখন পর্যন্ত প্রযুক্তি বিশ্বে স্মার্ট চশমার তেমন কোন বিপ্লব হয়নি। কারণ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে তখন ‘ছেলেখেলা’ হিসেবে বিবেচনা করা হতো। এর কারণ, ওই ডিভাইস ছিল সময়ের থেকে এগিয়ে থাকা এক যন্ত্র। এমনটাই মনে করেন গুগলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা সের্গেই ব্রিন। তবে ২০২৪ সালে গুগলের আশা, এই গ্লাস এখন এআইয়ের (AI) হাত ধরে এক অসাধারণ গ্যাজেট হিসেবে উঠে আসবে।
আরও পড়ুন: মেট্রো স্টেশন এ ঝঞ্ঝাট মেটাবে আপনার স্মার্ট ফোন।
গুগলের প্রজেক্ট অ্যাস্ট্রা স্মার্ট চশমার জন্য এক দারুণ হার্ডওয়্যার হতে পারে। গত ১৪ মে গুগল ডিপমাইন্ড সিইও ডেমিস হাসাবিস এই প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। তিনি বলেন, “দীর্ঘদিন ধরেই আমরা এমন একজন এআই এজেন্ট খুঁজছিলাম যা সত্যিকার অর্থে দৈনন্দিন জীবনে সহায়ক হতে পারে। আমাদের কঠোর পরিশ্রম অবশেষে অনেক আগেই এটি বাস্তবে পরিণত হয়েছে। এজন্য আমরা তাৎক্ষণিকভাবে জেমিনি মাল্টিমোডাল তৈরি করেছি”। এ অবস্থায় আবারও আলোচনায় উঠছে গুগলের স্মার্ট চশমা (Google Smart Glass)। ধারণা করা হচ্ছে, গুগল শিগগিরই নতুন পণ্য আনতে যাচ্ছে। ২০১৩ সালে প্রথম বাজারে আসে গুগল গ্লাস। সে সময় লক্ষ্য ছিল স্মার্টফোনের ইন্টারফেসকে গ্রাহকদের চোখের সামনে নিয়ে আসা। তবে এক দশকেরও বেশি সময় পরে এটি ধীরে ধীরে স্পষ্ট হয়ে উঠছে যে এতে অনেক সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: “Amazon বা Nykaa থেকে গিফট আছে” – এমনই বলে চিট করা হত। নেতাজি নগরে রহস্য কি
উল্লেখ্য, ব্রিন বারবার বলে আসছে, প্রযুক্তির দুনিয়া কাঁপিয়ে দিয়েছে এ আই (AI)। ব্রিন বলেন, ‘এটি একটি অসাধারণ সময়। এই এআই বুমের সময়, সবাই কম্পিউটার বিজ্ঞানী হতে এবং এর অংশ হতে চাইবে। বিষয়টি খুবই আকর্ষণীয়। আমি অবিশ্বাস্যভাবে ভাগ্যবান যে এই পুরো জিনিসটি আমার চোখের সামনে ঘটছে। গুগলের প্রজেক্ট অ্যাস্ট্রা ঘিরে যত গুঞ্জন ততই প্রাণ ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা দিন দিন বাড়ছে।
________