তারকেশ্বর TV: তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরকে সুস্থ রাখা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। শরীর ঠান্ডা রাখতে নানা পদ্ধতি অবলম্বন করা হচ্ছে। কিন্তু আপনি কি আপনার যৌনাঙ্গের যত্ন নিচ্ছেন? অতিরিক্ত গরমের কারণে যোনির পিএইচ ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়। এখানেই সংক্রমণের আশঙ্কা তৈরি হয়। নারীদের এ ব্যাপারে বাড়তি সতর্ক থাকতে হবে। কেউ কেউ আঁটসাঁট অন্তর্বাস পরেন। দিনে খুব বেশি হলে একবারই তা পরিবর্তন করেন। সেই সঙ্গে তাপ ও ডিহাইড্রেশনের আশঙ্কাও থাকে। এই সমস্ত কারণগুলি এই গরম আবহাওয়ায় যৌনাঙ্গে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায়।
গ্রীষ্মে, মহিলাদের মধ্যে ইস্ট ইনফেকশন খুব সাধারণ। তাপ এবং আর্দ্রতার কারণে, যৌনাঙ্গে অঞ্চলে ইস্ট ইনফেকশনের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। ফলে চুলকানি, জ্বালাপোড়া ও স্রাব বেড়ে যায়। শুরু থেকেই, ব্যাকটিরিয়া যৌনাঙ্গে উপস্থিত থাকে। অতিরিক্ত তাপ ও আবহাওয়ার কারণে এসব ব্যাকটেরিয়া ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে। ফলে স্রাব ও চুলকানির পরিমাণ বেড়ে যায়। এটি একটি দুর্গন্ধও নির্গত করে।
গরমে জল কম পান করার কারণে নারীদের মূত্রনালীর সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি থাকে। প্রস্রাব করার সময় তীব্র ব্যথা এবং জ্বলন্ত সংবেদন অনুভূত হয়। ডিহাইড্রেশনের কারণে যোনি শুষ্কতাও বৃদ্ধি পায়। যৌনাঙ্গে এলাকায় শুষ্কতা যৌনতার সময় অস্বস্তি হতে পারে। সংক্রমণের ঝুঁকিও বাড়ে। গরমে কীভাবে আপনার যৌনাঙ্গের যত্ন নেবেন তা শিখুন।
সংক্রমণ এবং ঝুঁকি এরাতে মেনে চলুন নিচের নিয়ম গুলি –
১. গরমে হালকা ও সুতির অন্তর্বাস পরুন। আঁটসাঁট অন্তর্বাস পরলে ঘাম বেশি হবে। এতে ইস্ট পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। পাশাপাশি প্রতিদিন অন্তর্বাস পরিবর্তন করুন।
২. প্রচুর পরিমাণে জল পান করুন। এতে শরীর হাইড্রেটেড থাকবে এবং মূত্রনালির সংক্রমণ এড়াতে পারবেন। পাশাপাশি যোনি এলাকার শুষ্কভাব থেকেও দূরে থাকবেন।
৩. যোনি এলাকার ভিতর জল বা অন্য কোনও পণ্য দিয়ে পরিষ্কার করা এড়িয়ে চলুন। এতে ভ্যাজাইনাতে ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে। এতে বাড়ে সংক্রমণের ঝুঁকি।
৪. যোনি এলাকা আলাদা করে পরিষ্কার করার প্রয়োজন পড়ে না। তবে, পিরিয়ড চলাকালীন কিংবা সেক্সের পর ভ্যাজাইনা পরিষ্কার করা জরুরি। সেক্ষেত্রে সুগন্ধ যুক্ত পণ্য ব্যবহার করবেন না। ঠান্ডা জল দিয়ে যোনি এলাকা পরিষ্কার করুন।
৫. যৌন মিলনের সময় কন্ডোম ব্যবহার করুন। এতে যৌন রোগের পাশাপাশি ভ্যাজাইনাল ইনফেকশনের হাত থেকে রক্ষা পাবেন।
________
