Homeবর্ধমানবন দফতরের চাতুর্যতায় গ্রেফতার ৫। জামালপুরের ঘটনা

বন দফতরের চাতুর্যতায় গ্রেফতার ৫। জামালপুরের ঘটনা

বন্যপ্রাণী অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ব্যুরো ক্রেতা হওয়ার ভান করে সেগুলি বাজেয়াপ্ত করে

তারকেশ্বর TV: চোরাচালান অভিযানে ধরা পড়ল হরিণ শিং! বন বিভাগ এবং বন্যপ্রাণী অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ব্যুরো ক্রেতা হওয়ার ভান করে সেগুলি বাজেয়াপ্ত করে। এ ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। শিংগুলিকে জামালপুর থানার আওতাধীন কুলিন গ্রামের পোস্ট অফিসের কাছে রাখা হয়েছিল। পাঁচ পাচারকারীকে আটক করা হয়, তাদের মধ্যে দু’জন বাইরে থেকে শিং আনার জন্য কাজ করত।

প্রাথমিকভাবে মনে করা হয়, শিংহগুলি ঝাড়খণ্ড বা বিহার থেকে আনা হয়েছিল। এই শিংগুলি প্রাপ্তবয়স্ক সম্বর হরিণের। মোট ২০টি টুকরো রয়েছে। তবে হরিণের শিংয়ের সঠিক সংখ্যা অজানা। ধৃতদের মধ্যে তিনজন জৌগ্রামের এবং বাকি দু’জন আসানসোলের বাসিন্দা।

বর্ধমান ডিভিশনের এক আধিকারিক সোমনাথ চৌধুরী জানিয়েছেন, বন্যপ্রাণী অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ব্যুরোর পূর্বাঞ্চলের কলকাতা অফিসের মাধ্যমে গত মঙ্গলবার থেকে এই সামগ্রী বর্ধমানের জৌগ্রামে আসার কথা রয়েছে বলে খবর আসে। সেই সূত্র অনুযায়ী বুধবার থেকেই তাঁরা তৈরি ছিলেন। বুধবার বিকেল ৫টা থেকে সাড়ে ৫টার মধ্যে কুলিন গ্রামে ঢুকেছিল পাচারকারীরা। আমাদের দু’জন স্টাফ পরিচয় গোপন করে ক্রেতা হিসেবে দাম দর করতে শুরু করেন। কাল রাত হয়ে যাওয়ায় অপারেশন হয়নি। আজ সকাল থেকে অপারেশন হয়।’’

জৌগ্রাম থেকে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, বাকি দু’জন আসানসোলের বাসিন্দা। তবে তাদের ঠিকানা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এই দুই ব্যক্তি প্রাথমিকভাবে বন্যপ্রাণী অপরাধের সাথে জড়িত এবং তদন্ত শুরু হয়েছে। ধৃতদের নাম আসানসোল-বার্নপুর রোডের শরদ কুমার সিনহা, আসানসোলের চাঁদা মোড়ের নয়ন কান্তি বাউরি, জৌগ্রামের  বিশ্বজিৎ রায়, শঙ্কর তালুকদার ও সুশান্ত তালুকদার। সোমনাথবাবুর মতে, এই শিং সাধারণত ঘর সাজানোর কাজে ব্যবহার করা হয়। তবে তাদের কার্যক্রমের উদ্দেশ্য ও গন্তব্য নির্ধারণের চেষ্টা চলছে। অভিযুক্তদের আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

________

এই মুহূর্তে

আরও পড়ুন