তারকেশ্বর TV: মস্তিষ্কে অ্যামিবা! সাত দিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন এক বৃ্দ্ধা। তার অবস্থা মোটেও ভালো হচ্ছিল না। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু কয়েকদিন পর তিনি হাসপাতালে অচেতন হয়ে পড়েন। এরপরই তাঁকে ক্রিটিক্যাল কেয়ারে রাখা হয়। শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চমকে যান চিকিৎসকরা।
আরও পড়ুন: প্রখর রোদে জিন্স পড়বেন নাকি পড়বেন না? জেনে নিন।
ডাক্তারি পরীক্ষায় দেখা যায়, বয়স্ক বৃ্দ্ধার মস্তিষ্কে অ্যামিবা বা মস্তিষ্কখেকো অ্যামিবা বাসা বাঁধে। দেড় মাস চিকিৎসার পর বয়স্ক বৃ্দ্ধাকে আবার সুস্থ করে তোলা যায়।
তবে এসএসকেএম কর্তৃপক্ষের তরফে জানা গিয়েছে, এই বৃদ্ধাকে নিয়ে অ্যামিবিক মেনিনগোএনসেফেলাইটিস এ আক্রান্ত মোট দুজনের চিকিৎসা সম্ভব হয়েছে।
আরও পড়ুন: চুলকানি, স্রাবের পরিমাণ বেড়েছে? কিভাবে খেয়াল রাখবেন জানুন
এর আগেও হাওড়ার বেলিলিয়াস রোডের ৫৯ বছরের এক বৃদ্ধা অ্যামিবাতেও আক্রান্ত হয়েছিলেন। শারীরিক পরীক্ষার পর দেখা যায়, অ্যাকানথ্যামিবা নামে একটি পরজীবী তার মস্তিষ্কে বাসা বেঁধেছে।
আরও পড়ুন: অফিস থেকে সোজা বিয়েবাড়ি যাবেন? ব্যাগে রাখুন এই জিনিস গুলো
কিন্তু কেন এই রোগ হয়? চিকিৎসকদের ব্যাখ্যা, “সাধারণত অ্যামিবা পুকুর বা জমা জলে জন্মায়। এটি নাক দিয়ে রোগীর শরীরে প্রবেশ করে। নাক এবং মস্তিষ্কের সংযোগে একটি ফাঁদের মতো কাঠামো রয়েছে। এর মাধ্যমে অ্যামিবা মস্তিষ্কে প্রবেশ করে। তবে বেঁচে থাকার জন্য যে ধরনের অ্যান্টিপ্যারাসাইটিক ওষুধ প্রয়োজন তা বাজারে সহজে পাওয়া যায় না। তাই এসএস কে এম হাসপাতালে এসব রোগীর চিকিৎসার জন্য বিদেশ থেকে বেশ কিছু অ্যান্টিবায়োটিক নির্বাচন করা হয়।
________