বন্দির মৃত্যুতে বর্ধমান সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট তলব করল জাতীয় এবং রাজ্য মানবাধিকার কমিশন। মৃত বন্দির নাম হাতেম আলি মণ্ডল। তার বয়স হয়েছিল ৮৩। পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বর থানার ভাগড়া গ্রামে তাঁর বাড়ি। সিজেএম সোমবার ওই বন্দির মৃত্যুতে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষের একটি সূত্রে খবর যে, ২০০৫ সালের একটি মামলায় কালনার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক হাতেম আলিকে দোষী সাব্যস্ত করে। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয় তাঁর। ৩০ হাজার টাকা জরিমানাও হয় তার। হাতেম আলি বর্ধমান সংশোধনাগারে ছিলেন ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ থেকে। শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন যে কারণে রবিবার রাতে খুব অসুস্থ হয়ে পড়েন। সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষের তরফে তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ভর্তি না করিয়ে বহির্বিভাগে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করিয়ে আবার সংশোধনাগারে পাঠিয়ে দেন ওই বন্দিকে। সোমবার সকালে আবার অসুস্থ হয়ে পড়েন হাতেম আলি। তার পর বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে বর্ধমান থানা। তাপস ঘোষ, বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের সুপার জানান, রবিবার রাত ১টা নাগাদ ওই বন্দিকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তখন রোগীকে ভর্তি করানোর মতো অবস্থা ছিল না।
শেষ বার যখন তাকে আনা হয় তার আগেই তিনি মৃত্যু বরণ করেন। পোষ্টমর্টেম রিপোর্ট মেলার পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে বলে জানান তিনি।
________
