জলশূন্যতা বা ডিহাইড্রেশন, রোদ থেকে শরীর শুকিয়ে যাওয়া এবং পেশিতে টান ধরা (হিট ক্র্যাম্প), সামান্য শ্রমেই হাঁপ ধরা বা অতিরিক্ত ক্লান্তি (হিট ফ্যাটিগ) এবং হিট স্ট্রোক হতে পারে খুব বেশি তাপপ্রবাহে। কোন উপসর্গগুলি দেখলেই সতর্ক হওয়া প্রয়োজন?
১) রোদে শরীর শুকিয়ে গেলে বা হিট ক্র্যাম্প হলে জ্ঞান হারাতে পারেন। পাশাপাশি, ১০২ ডিগ্রির কাছাকাছি জ্বর আসতে পারে। শরীরে নানা জায়গা ফুলে যেতে পারে।
২) বার বার হাঁপ ধরা, অতিরিক্ত ঘাম হওয়া, বমি হওয়া বা বমি হওয়ার প্রবণতা তৈরি হওয়া বা মাথা ধরা, রোদ থেকে অতিরিক্ত ক্লান্তি বা হিট ফ্যাটিগের লক্ষণ।
৩) হিট স্ট্রোক হলে শরীরের তাপমাত্রা ১০৪ ডিগ্রির কাছাকাছি চলে যেতে পারে। জ্ঞান হারানো এর অন্যতম লক্ষণ। পরিস্থিতির অবনতি হলে রোগী কোমাতেও চলে যেতে পারেন বা তাঁর মৃত্যুও হতে পারে।
আরও পড়ুন: অসুস্থ শাহরুখ! কি হল কিং খানের?
আরও পড়ুন: বল তুই আমাকে ভালবাসিস। বলেই ছেলেটির মাথাটা দিল ঠুকে!
কী ভাবে সুরক্ষিত রাখবেন নিজেকে?
১) দুপুর ১২টা থেকে ৩টের মধ্যে বাড়ির বাইরে না বেরোনোই ভাল। সম্ভব হলে ঘরের ভিতরে থেকেই কাজ করুন। এই সময়ে রোদের তাপ সবচেয়ে বেশি থাকে।
২) সারা দিন ধরে ঘন ঘন জল খান। শরীর শুকিয়ে যেতে দেবেন না। জলের পাশাপাশি ঘোল, আখের রস, ডাবের জলও খেতে পারেন। ওআরএস, লেবুর জল, ঘোল বা লস্যি সারা দিন খান। ছাতু বা বেলের শরবত বানিয়ে খেতে পারেন।
৩) সুতির হালকা পোশাক পরুন, যাতে ঘাম হলে তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায়। ঢাকা জুতোর বদলে খোলা চটি পরুন।
৪) বাইরে বেরোলেই রোদচশমা, ছাতা, রুমাল অবশ্যই সঙ্গে নেবেন। সূর্যের আলো সরাসরি গায়ে লাগতে দেবেন না।
আরও পড়ুন: বজ্রপাতের সময় ‘স্নান করা’, ‘বাসন মাজা’ মৃত্যুর কারণ হতে পারে
৫) সর্বাধিক তাপমাত্রার সময়ে শরীরচর্চা বা অতিরিক্ত ক্লান্তিকর কোনও রকম কাজ এড়িয়ে যাওয়াই ভাল। পরিশ্রমের কাজ দুপুর ১২টার আগেই সেরে ফেলুন।
৬) অনেকেই বেজায় গরমে প্রচুর বিয়ার, সোডা বা নরম পানীয় খেয়ে ফেলেন। এতে ডিহাইড্রেশনের আশঙ্কা বেড়ে যায়। চা বা কফিও খুব বেশি খাবেন না।
৭) এই সময়ে অতিরিক্ত তেল-মশলাদার খাবার, ভাজাভুজি এবং বাসি খাবার খাবেন না।
আরও পড়ুন: পুরুষের তুলনায় মহিলাদের কেন বেশি ঘুমের প্রয়োজন?
৮) ঘর ঠান্ডা রাখুন। যদি শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের যন্ত্র বাড়িতে না থাকে, ভারী পর্দা দিয়ে ঘর ঠান্ডা রাখুন। ফ্যানের তলায় ঠান্ডা জলের বাটিতে কয়েক টুকরো বরফ রেখে দিতে পারেন।
৯) ঠান্ডা জলে স্নান করতে পারেন দিনে দুই থেকে তিন বার। অসুস্থ বোধ করলেই চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
________