বর্ধমান: দূর্গাপুজা যতই কাছাকাছি এগিয়ে আসছে, ততই আনাজের চাহিদা বাড়ছে। তবে এ বছর আবহাওয়ার কারণে ভাল মানের আনাজ পাওয়া মুশকিল হবে বলে মনে করছেন চাষিরা। লাগাতার দুর্যোগের ফলে পুজোর সময় বাজারে আনাজের জোগান কমে যাওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। যে কারণে দামের উপর এর প্রভাভ পড়েছে। ইতিমধ্যেই আনাজের দাম বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে।
বর্ধমান শহরের বাজারগুলোতে আনাজের দাম শুনে ক্রেতারা তো অবাক। বিশ্বকর্মা পুজোর আগের তুলনায় বুধবার আনাজের দাম প্রায় ১৫ শতাংশ বেড়েছে। উদাহরণস্বরূপ, পটলের দাম ৪০ টাকা থেকে ৬০ টাকা, ঝিঙে ৩০ টাকা থেকে ৫০ টাকা, আর লঙ্কার দাম ৮০ টাকা থেকে ১৫০ টাকায় পৌঁছেছে। সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে বেগুনের, যা এখন ৬০-৮০ টাকা প্রতি কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে, শসা ও পেঁপের দাম একই থাকলেও পেঁয়াজের দাম ৫০ টাকা থেকে ৬০ টাকায় এবং রসুন ৩০০-৩২০ টাকা থেকে ৪০০ টাকায় উঠে গেছে।
[আরও পড়ুন]: শ্রেয়া, নেহা, সুনিধি নন। তবে অন্য এক গায়িকার সম্পত্তির পরিমাণ সবচেয়ে বেশি
চাষিরা জানাচ্ছেন, টানা বৃষ্টির কারণে মাঠের অনেক আনাজ নষ্ট হয়ে গেছে। দামোদর ও ভাগীরথীর নদীর জলস্তর বাড়ার ফলে জেলার প্রায় ৩৫০০ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাইকারি বাজারগুলোতেও আনাজের জোগান কমে গেছে প্রায় ৭০-৮০ শতাংশ। ফলে বাজারে ভাল মানের আনাজের আকাল দেখা দিয়েছে। চাষিরা বলছেন, পুজোর সময় এই অবস্থার খুব একটা পরিবর্তন হবে না।
[আরও পড়ুন]: কেন আজও মুখোমুখি হন না ঐশ্বর্য-সলমন? কি ছিল বিচ্ছেদের কারণ?
পূর্বস্থলীর চাষি আনিসুর রহমান জানিয়েছেন, দুর্যোগের ফলে তাঁর ফুলকপি নষ্ট হয়ে গেছে। অন্যান্য চাষিরাও একই অবস্থা জানিয়েছেন। গোপাল মণ্ডল বলেন, বেগুন, কাঁকরোল, ভেন্ডি এবং ঝিঙের ফলন তলানিতে এসে ঠেকেছে এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে আরও দেড় মাস লাগতে পারে।
________